ভেড়ামারায় মাদকের টাকা ভাগাভাগি ও সেবনকে কেন্দ্র করে যুবক জিমকে হত্যা
- আপডেট সময় : ০৯:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩ ৮২ বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আলোচিত যুবক জিম হত্যাকান্ডের মূল মোটিভ পেতে শুরু করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয়া কিশোর গাং’র শীর্ষ সন্ত্রাসী সাকিব হোসেনকে আটক করার পর থেকেই মামলার জট খুলতে শুরু করে।
পুলিশ বলছে, মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে কিশোর গ্যাংর সদস্যদের হাতেই খুন হয় জিম। তবে, একটি সূত্র বলেছে, মাদক ক্রয়, বিক্রয়, খাওয়া থেকে শুরু করে সকল ধরনের অপরাধেই সম্পৃক্ত ছিল কিশোর ওই গ্রুপ। তারই ধারাবাহিকতায় মাদকের টাকা ভাগাভাগিতেই খুন হয় জিম।
ঘটনাস্থল থেকে ১১ হাজার টাকাও উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ভেড়ামারা শহরের প্রফেসার পাড়ায় গোলাম মোস্তফা রুবেল (রুবেল অটো) এর বাড়িতে। নিহত তুষার মন্ডল জিম ভেড়ামারা শহরের প্রফেসার পাড়া এলাকার ফজলু মন্ডলের ছেলে।
ভেড়ামারা থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ভেড়ামারা শহরের প্রফেসার পাড়ায় গোলাম মোস্তফা রুবেল (রুবেল অটো) এর বাড়ি থেকে গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় তুষার মন্ডল ওরফে জিম (২০)’র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছিল। এঘটনার পর থেকেই হত্যার মোটিভ উদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। অভিযান চালিয়ে রাতেই আটক করে কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া মূল আসামী কিশোর গাং’র শীর্ষ সন্ত্রাসী সাকিব হোসেন (২১) কে। সে প্রফেসরপাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলাম সিরু ড্রাইভারের ছেলে।
ভেড়ামারা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্য্যায়ে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে সাকিব হোসেন। সে জানিয়েছে, মাদকের কারনেই কয়েক জন মিলে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ ফেলে তারা পালিয়ে যায়। বুধবার সাকিব ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে কুষ্টিয়া ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে । বাঁকী আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।