চোখের আলো ফিরে পেতে যাচ্ছে ৩৫৪ রুগী, লেন্স সংযোজন প্রস্তুত
- আপডেট সময় : ০৭:৪৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩ ৯১ বার পড়া হয়েছে
সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন, অন্ধত্ব প্রতিরোধ করুণ। এই শ্লোগানে বড়দিয়া হাজি আরিফ মাদরাসা মাঠে ৪৫৪ জন চক্ষু রোগীকে অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়েছে। গত ১ মে থেকে এ বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করে এ পর্যন্ত ৩৫৪ জন রুগীকে অপারেশনসহ চোখের লেন্স সংযোজন করার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
তাদের মধ্যে নেত্রনালী ও মাংশ বৃদ্ধি ৪৯ রোগীকে ১৩ জুন মঙ্গলবার খুলনার দিশা চক্ষু হাসপাতালে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া চোখে ছানিপড়া রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকার কারণে অপারেশনে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তাদেরও পর্যাক্রমে অপারেশন করা হবে। রামপাল, মোংলা, ফকিরহাট, বাগেরহাট সদর, মোড়েলগন্জ, শরণখোলা ও দাকোপসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সুবিধা বঞ্চিত মানুষ এ চক্ষু চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে ও লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগীতায় গত ২০০৯ সাল থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত এলাকার সুবিধা বঞ্চিত গরিব ও ও অসহায় মানুষদের জন্য এ চক্ষু শিবিরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এ সময় বিভিন্ন এলাকার থেকে প্রায় ৬০ হাজার চোখের রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া প্রায় সাড়ে ৫ হাজার রোগীর চোখের ছানি, নেত্রনালী ও মাংশবৃদ্ধি রোগীকে অপারেশনসহ লেন্স সংযোজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রামপাল ও মোংলার বিভিন্ন এলাকায় চক্ষ ক্যাম্প তৈরী করে রোগীদের বিভিন্ন রকমের সেবা প্রদানও করা হয়েছে।
সেবাপ্রাপ্ত শিশুরা চোখের আলো ফিরে পেয়ে তারা লেখাপড়া করতে পারছে। কর্মক্ষম রোগীরা তাদের সংসারের আয় রোজগার করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারছেন এবং বৃদ্ধরা চোখের আলো ফিরে পেয়ে সাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন।
হতদরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিতদের এমন চিকিৎসার মাধ্যমে চোখের আলো ফেরানো একটি ক্লাবের পক্ষে অত্যান্ত কঠিন কাজ। তাই এসকল গরিব ও অসহায় সুবিদা বঞ্চিত মানুষগুলোকে তাদের দৃষ্টি ফিড়িয়ে দেওয়ার জন্য সমাজের বিত্তশালী মানুষদের এগিয়ে আসার প্রয়োজন। তাই ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম অসহায় মানুষদের অন্ধত্ব দুর করতে ও তাদের চোখের আলো ফিড়িয়ে দিতে সকলের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, বাগেরহাট জেলার রামপাল ও মোংলার বিত্তশালীগণ এই মহতী কাজে এগিয়ে এলে আমরা দেশের বা এলাকার গরিব ও অসহায় মানুষের ৯৮ ভাগ অন্ধত্ব দুর করতে পারবো বলে জানান তিনি।