সংবাদ শিরোনাম ::
দৌলতদিয়া পোড়াভিটায় পুলিশের অভিযানে হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার রাজবাড়ীতে হেরোইনসহ নারী মাদক কারবারি গ্রেফতার জলবায়ু অর্থায়ন হতে হবে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চরফ্যাশন সরকারি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে মোহাম্মদ উল্যাহ স্বপনের নিয়োগ নোয়াখালীতে খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতা ছুরিকাঘাতে নিহত গোয়ালন্দের শফিক সহ বিএনপিপন্থী ৬৬ আইনজীবীকে মামলা থেকে অব্যাহতি ভোমরায় দেড় কোটি টাকার সোনার চকলেটসহ কিশোর আটক পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরতে নেমে জালে মিলল ১৪ কেজির পাঙ্গাশ মোংলা দিগরাজ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় কলেজের নবীন বরণ মিয়ানমার সীমান্তে ফের বিস্ফোরণ, সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক
সংবাদ শিরোনাম ::
দৌলতদিয়া পোড়াভিটায় পুলিশের অভিযানে হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার রাজবাড়ীতে হেরোইনসহ নারী মাদক কারবারি গ্রেফতার জলবায়ু অর্থায়ন হতে হবে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চরফ্যাশন সরকারি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে মোহাম্মদ উল্যাহ স্বপনের নিয়োগ নোয়াখালীতে খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতা ছুরিকাঘাতে নিহত গোয়ালন্দের শফিক সহ বিএনপিপন্থী ৬৬ আইনজীবীকে মামলা থেকে অব্যাহতি ভোমরায় দেড় কোটি টাকার সোনার চকলেটসহ কিশোর আটক পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরতে নেমে জালে মিলল ১৪ কেজির পাঙ্গাশ মোংলা দিগরাজ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় কলেজের নবীন বরণ মিয়ানমার সীমান্তে ফের বিস্ফোরণ, সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক

শালিখায় বীজতলা তৈরি ও চারারোপনে ব্যস্ত কৃষক, কুয়াশায় শঙ্কা 

মাসুম বিল্লাহ, মাগুরা
  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

শালিখায় বীজতলা তৈরি ও চারারোপনে ব্যস্ত কৃষক, কুয়াশায় শঙ্কা।

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
কুয়াশায় ঢাকা চারিদিক, বেলা বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কুয়াশা সাথে শৈত্য প্রবাহ। তাইতো অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তবে রিজিকের টানে শ্রমজীবী মানুষগুলো ছুটে যাচ্ছেন তাদের কর্মক্ষেত্রে। শীতকে উপেক্ষা করে সরিষা উঠানোর সাথে সাথেই রোরো ধানের বীজতলা তৈরি ও চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন শালিখার কৃষক। কাজকে বেগবান করতে কৃষকের পাশাপাশি মাঠের কাজে অংশ নিচ্ছেন কৃষাণীরাও।
আজ রোববার(১৫ জানুয়ারি) উপজেলার বুনাগাতি, শতখালি, শালিখা, তালখড়ি সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে করে দেখা যায়, বেলা উঠার আগেই কৃষকরা দলে দলে মাথায় মাথাল, হাতে কাস্তে-কোদাল এবং সাথে দুপুরের খাবার নিয়ে ছুটে চলেছেন মাঠের দিকে। কেউ উঠাচ্ছেন সরিষা, কেউ লাগাচ্ছেন ধানের চারা কেউ আবার বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত অনেকে আবার ধানের চারা উঠানোর কাজে ব্যস্ত। তবে মাত্রাতিরিক্ত কুয়াশায় ধানের চারা গুলোর ক্ষতির শঙ্কায় অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ।তারপরও মাঠ প্রস্তুত করছেন অনেকেই কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে পানি কাদায় নেমে জীবন যুদ্ধে লড়ছেন তারা। শত কষ্টের মাঝেও সোনালী ফসল ফলানোর স্বপ্নে বিভোর তারা।
এমনই একজন কৃষক শালিখা উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের নজরুল মোল্লা। তিনি বলেন, এ বছর ৩ একর জমিতে সরিষা বুনে ছিলাম সরিষা আলহামদুলিল্লাহ আশানুরূপ হয়েছে। এছাড়াও নয় একর জমিতে বোরো ধান রোপণের চিন্তাও রয়েছে তার।
তালখড়ি ইউনিয়নের শাবলাট গ্রামের কৃষক শামস বলেন, ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছি প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হব।
তবে জয়নাল মোল্লা, শিপন বিশ্বাস, হরিদাস সহ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা জানান, এবছরের অন্যান্য বছরের তুলনায় অতিমাত্রায় কুয়াশা পড়ছে যা ধানের চারা ও সদ্য অঙ্কুরিত পাতোর জন্য খুবই ক্ষতিকর এভাবে আরো কয়েকদিন কুয়াশা পড়লে বোরো আবাদ থেকে কাঙ্ক্ষিত ফসল ফলানো অসম্ভব হয়ে পড়বে
আড়পাড়া ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের কৃষক হরিদাস বিশ্বাস বলেন, এ বছর ৬ বিঘা জমিতে বোরোধান রোপনের লক্ষ্যে বীজতলা তৈরি করেছিলাম যার প্রায় অর্ধেক কুয়াশায় নষ্ট হয়ে গেছে। তাই নতুন করে ধানের চারা(পাতো) ক্রয় করতে যাচ্ছি।
অতিমাত্রায় কুয়াশা থেকে ধানের চারা কিভাবে রক্ষা করা যায় এমন প্রশ্নের জবাবে উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সঞ্জয় হালদার বলেন, শৈত্য প্রবাহের সময় বীজতলা তৈরি করা থেকে বিরত থাকা উত্তম তারপরও যারা বীজতলা তৈরি করেছেন তাদেরকে বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দ্বারা আবৃত করে রাখা, বীজতলায় দিনের বেলায় পানি কম রাখা এবং বীজতলায় এক লিটার পানিতে ২ গ্রাম চ্যাম্পিয়ন-১ ছত্রাকনাশক ঔষধ প্রয়োগের অনুরোধ করেন এবং সদ্য রোপনকৃত চারা গাছে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার ৫ শত ৪৫ মেট্রিক টন যার মধ্যে ৫ হাজার ৮ শত ৫০ মেট্রিক টন ধান রোপন করা  হয়েছে যা মোট লক্ষ্যমাত্রার  ৪৬ শতাংশ। এছাড়াও তিনি ধানের চারা ও বীজতলা তৈরিতে যে কোন পরামর্শের জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ কর অনুরোধ জানান ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শালিখায় বীজতলা তৈরি ও চারারোপনে ব্যস্ত কৃষক, কুয়াশায় শঙ্কা 

আপডেট সময় : ০৬:৩২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
কুয়াশায় ঢাকা চারিদিক, বেলা বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কুয়াশা সাথে শৈত্য প্রবাহ। তাইতো অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তবে রিজিকের টানে শ্রমজীবী মানুষগুলো ছুটে যাচ্ছেন তাদের কর্মক্ষেত্রে। শীতকে উপেক্ষা করে সরিষা উঠানোর সাথে সাথেই রোরো ধানের বীজতলা তৈরি ও চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন শালিখার কৃষক। কাজকে বেগবান করতে কৃষকের পাশাপাশি মাঠের কাজে অংশ নিচ্ছেন কৃষাণীরাও।
আজ রোববার(১৫ জানুয়ারি) উপজেলার বুনাগাতি, শতখালি, শালিখা, তালখড়ি সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে করে দেখা যায়, বেলা উঠার আগেই কৃষকরা দলে দলে মাথায় মাথাল, হাতে কাস্তে-কোদাল এবং সাথে দুপুরের খাবার নিয়ে ছুটে চলেছেন মাঠের দিকে। কেউ উঠাচ্ছেন সরিষা, কেউ লাগাচ্ছেন ধানের চারা কেউ আবার বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত অনেকে আবার ধানের চারা উঠানোর কাজে ব্যস্ত। তবে মাত্রাতিরিক্ত কুয়াশায় ধানের চারা গুলোর ক্ষতির শঙ্কায় অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ।তারপরও মাঠ প্রস্তুত করছেন অনেকেই কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে পানি কাদায় নেমে জীবন যুদ্ধে লড়ছেন তারা। শত কষ্টের মাঝেও সোনালী ফসল ফলানোর স্বপ্নে বিভোর তারা।
এমনই একজন কৃষক শালিখা উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের নজরুল মোল্লা। তিনি বলেন, এ বছর ৩ একর জমিতে সরিষা বুনে ছিলাম সরিষা আলহামদুলিল্লাহ আশানুরূপ হয়েছে। এছাড়াও নয় একর জমিতে বোরো ধান রোপণের চিন্তাও রয়েছে তার।
তালখড়ি ইউনিয়নের শাবলাট গ্রামের কৃষক শামস বলেন, ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছি প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হব।
তবে জয়নাল মোল্লা, শিপন বিশ্বাস, হরিদাস সহ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা জানান, এবছরের অন্যান্য বছরের তুলনায় অতিমাত্রায় কুয়াশা পড়ছে যা ধানের চারা ও সদ্য অঙ্কুরিত পাতোর জন্য খুবই ক্ষতিকর এভাবে আরো কয়েকদিন কুয়াশা পড়লে বোরো আবাদ থেকে কাঙ্ক্ষিত ফসল ফলানো অসম্ভব হয়ে পড়বে
আড়পাড়া ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের কৃষক হরিদাস বিশ্বাস বলেন, এ বছর ৬ বিঘা জমিতে বোরোধান রোপনের লক্ষ্যে বীজতলা তৈরি করেছিলাম যার প্রায় অর্ধেক কুয়াশায় নষ্ট হয়ে গেছে। তাই নতুন করে ধানের চারা(পাতো) ক্রয় করতে যাচ্ছি।
অতিমাত্রায় কুয়াশা থেকে ধানের চারা কিভাবে রক্ষা করা যায় এমন প্রশ্নের জবাবে উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সঞ্জয় হালদার বলেন, শৈত্য প্রবাহের সময় বীজতলা তৈরি করা থেকে বিরত থাকা উত্তম তারপরও যারা বীজতলা তৈরি করেছেন তাদেরকে বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দ্বারা আবৃত করে রাখা, বীজতলায় দিনের বেলায় পানি কম রাখা এবং বীজতলায় এক লিটার পানিতে ২ গ্রাম চ্যাম্পিয়ন-১ ছত্রাকনাশক ঔষধ প্রয়োগের অনুরোধ করেন এবং সদ্য রোপনকৃত চারা গাছে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার ৫ শত ৪৫ মেট্রিক টন যার মধ্যে ৫ হাজার ৮ শত ৫০ মেট্রিক টন ধান রোপন করা  হয়েছে যা মোট লক্ষ্যমাত্রার  ৪৬ শতাংশ। এছাড়াও তিনি ধানের চারা ও বীজতলা তৈরিতে যে কোন পরামর্শের জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ কর অনুরোধ জানান ।