সাতক্ষীরায় একক স্বাক্ষরে বেতন-বিল পাশের অভিযোগ, ব্যাংক ম্যানেজারের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক
- আপডেট সময় : ০২:২৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৩২ বার পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরার রূপালী ব্যাংকের ম্যানেজার শংকর কুমার দাসের বিরুদ্ধে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অবৈধভাবে কলেজ সভাপতির একক স্বাক্ষরে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-বিল পাশ করানোর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এড. আব্দুর রহমান কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, এড. আব্দুর রহমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের স্বাক্ষর ছাড়াই সভাপতির একক স্বাক্ষরে অক্টোবর মাসের বেতন-বিল পাশ করানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যক্ষ এবং সভাপতির যৌথ স্বাক্ষর ছাড়া এ ধরনের কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায় না।
অধ্যক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ বলেন, “এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বেআইনি। নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ছাড়া বিল পাশ হতে পারে না। বিষয়টি আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনব।”
গত ৫ আগস্ট ছাত্র অভ্যুত্থানের পর কলেজের কার্যক্রম সচল রাখতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মজিদকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন। তবে সংরক্ষিত তহবিল আত্মসাতের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সিরাজুল ইসলাম নামে একজন ব্যক্তিকে একটি চক্র অবৈধভাবে এডহক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ করিয়ে আনে।
সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিটির কার্যক্রম নিয়ে ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগ, সিরাজুল ইসলাম নিজের ক্ষমতা জোরদার করতে অধ্যক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে যোগসাজশ করে বেতন-বিল পাশ করিয়েছেন।
এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের ম্যানেজার শংকর কুমার দাস বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছি। যেখানে অধ্যক্ষ নেই, সেসব ক্ষেত্রে একক স্বাক্ষর গ্রহণযোগ্য।”
তবে শিক্ষকদের দাবি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা শুধুমাত্র অধ্যক্ষ পলাতক থাকলে প্রযোজ্য। এড. আব্দুর রহমান কলেজে অধ্যক্ষ থাকা সত্ত্বেও এ নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে।
ঘটনার পর শিক্ষক-কর্মচারীরা জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা দাবি করছেন, অবৈধভাবে সভাপতির একক স্বাক্ষর নিয়ে বেতন-বিল পাশ করানোর জন্য ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
অভিযোগ নিয়ে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অবৈধ উপায়ে বিল পাশ করানো নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা।