সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::

কুষ্টিয়ায় আখেরী মোনাজাতের মধ্যে শেষ হলো ইজতেমা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:১২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১ ২৯৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো কুষ্টিয়া জেলা ইজতেমা। শনিবার (২০ নভেম্বর) কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মিরপুর উপজেলার মশান বাজারের সন্নিকটে জেলা ইজতেমার সমাপনী দিনে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণসহ দেশের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এ সময় মাঠে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কণ্ঠে ‘আমিন, আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়।
তাবলিগ জামাতের মুরব্বি ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা মাহমুদ-উল্লাহ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে শুরু হওয়া মোনাজাত শেষ হয় ১১টা ৪৮ মিনিটে।
লাখো মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় এক ধর্মীয় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সকালে জেলা ইজতেমায় ফজরের নামাজের পর থেকে আখেরি মোনাজাতের পূর্ব পর্যন্ত ঈমান, আমল, ইকরামুল মুসলেমিনসহ তাবলিগের ৬ উসুলের ওপর এবং তাৎপর্যপূর্ণ হেদায়েতি বয়ান চলতে থাকে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ধ্যানে মশগুল হয়ে শুনতে থাকেন এসব বয়ান।
পরে ধনী-গরিব এক হয়ে আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে কুষ্টিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ ইজতেমার ময়দানে উপস্থিত হন। ছুটে আসেন নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-যুবক, কিশোর-শিশু নির্বিশেষে সবাই।
ইজতেমা ময়দানের আশপাশে, বিভিন্ন যানবাহনে বসে মোনাজাতে শরিক হন বহু মানুষ। অনেকেই দূরে থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও মোনাজাতে শরিক হন।
ইজতেমাস্থলে ছিল নানা আয়োজন। নানা ধরনের সেবা দেওয়ার দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। এরআগে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই জেলা ইজতেমা।
এই ইজতেমায় ইসলামী জীবন বিধান ও ধর্মের আলোকে বয়ান করছেন তাবলীগ জামাতের মুরব্বি ও দেশবরেণ্য আলেমগণ। ইজতেমায় শুক্রবার জুমার নামাজে বিপুল পরিমাণ মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সাল থেকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে তাবলিগ জামাতের আয়োজনে জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং চাঁদাগাড়া মাঠে জেলা ইজতিমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের গড়াই নদীপাড়ে ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছিল। এবার মিরপুর উপজেলার মশান বাজারের সন্নিকটে এ ইজতিমা অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কুষ্টিয়ায় আখেরী মোনাজাতের মধ্যে শেষ হলো ইজতেমা

আপডেট সময় : ০৫:১২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো কুষ্টিয়া জেলা ইজতেমা। শনিবার (২০ নভেম্বর) কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মিরপুর উপজেলার মশান বাজারের সন্নিকটে জেলা ইজতেমার সমাপনী দিনে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণসহ দেশের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এ সময় মাঠে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কণ্ঠে ‘আমিন, আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়।
তাবলিগ জামাতের মুরব্বি ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা মাহমুদ-উল্লাহ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে শুরু হওয়া মোনাজাত শেষ হয় ১১টা ৪৮ মিনিটে।
লাখো মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় এক ধর্মীয় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সকালে জেলা ইজতেমায় ফজরের নামাজের পর থেকে আখেরি মোনাজাতের পূর্ব পর্যন্ত ঈমান, আমল, ইকরামুল মুসলেমিনসহ তাবলিগের ৬ উসুলের ওপর এবং তাৎপর্যপূর্ণ হেদায়েতি বয়ান চলতে থাকে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ধ্যানে মশগুল হয়ে শুনতে থাকেন এসব বয়ান।
পরে ধনী-গরিব এক হয়ে আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে কুষ্টিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ ইজতেমার ময়দানে উপস্থিত হন। ছুটে আসেন নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-যুবক, কিশোর-শিশু নির্বিশেষে সবাই।
ইজতেমা ময়দানের আশপাশে, বিভিন্ন যানবাহনে বসে মোনাজাতে শরিক হন বহু মানুষ। অনেকেই দূরে থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও মোনাজাতে শরিক হন।
ইজতেমাস্থলে ছিল নানা আয়োজন। নানা ধরনের সেবা দেওয়ার দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। এরআগে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই জেলা ইজতেমা।
এই ইজতেমায় ইসলামী জীবন বিধান ও ধর্মের আলোকে বয়ান করছেন তাবলীগ জামাতের মুরব্বি ও দেশবরেণ্য আলেমগণ। ইজতেমায় শুক্রবার জুমার নামাজে বিপুল পরিমাণ মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সাল থেকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে তাবলিগ জামাতের আয়োজনে জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং চাঁদাগাড়া মাঠে জেলা ইজতিমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের গড়াই নদীপাড়ে ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছিল। এবার মিরপুর উপজেলার মশান বাজারের সন্নিকটে এ ইজতিমা অনুষ্ঠিত হয়।