বনভোজনের বাস বিদ্যুতায়িত : ফেনীর ফতেহপুরে অন্তিম শয়ন নাঈম

ফেনী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুরের শ্রীপুরে বনভোজনে যাওয়ার পথে বাসে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত হওয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) শিক্ষার্থী নাঈমের দাফন তার নিজ বাড়ি ফেনীর ফতেহপুরে সম্পন্ন হয়েছে।

গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরে আইইউটির শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাস বিদ্যুতায়িত হয়, উদয়খালী এলাকায়। দুর্ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে মৃত্যুবরণ করেন। নিহতদের মধ্যে নাঈমও ছিলেন। তিনি আইইউটির মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নাঈমের মা নাহিদা ইয়াসমিনের সঙ্গে শেষ কথোপকথন হয়েছিল বনভোজনের আগের রাতে। মা-কে তিনি জানিয়েছিলেন, বনভোজন শেষেই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তিনি ফিরেছিলেন মৃতদেহে।

রবিবার ভোরে নাঈমের মরদেহ ফেনীর ফতেহপুরে তার বাড়িতে পৌঁছায়। সেখানে সকাল ১০টায় ফতেহপুর ঈদগাহ ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যাতে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

নাঈমের বাবা মীর মোতাহের হোসেন, যিনি সাউথইস্ট ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক, ছেলের অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ। তাঁর বড় ছেলে বাক্‌প্রতিবন্ধী, তাই নাঈমের ওপর পরিবারের অনেক আশা ছিল।

নাঈম ছিলেন মেধাবী শিক্ষার্থী, তিনি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেছিলেন এবং প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু দুর্ঘটনায় সেই স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বনভোজনের বাস বিদ্যুতায়িত : ফেনীর ফতেহপুরে অন্তিম শয়ন নাঈম

আপডেট সময় : ০৬:১৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

গাজীপুরের শ্রীপুরে বনভোজনে যাওয়ার পথে বাসে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত হওয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) শিক্ষার্থী নাঈমের দাফন তার নিজ বাড়ি ফেনীর ফতেহপুরে সম্পন্ন হয়েছে।

গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরে আইইউটির শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাস বিদ্যুতায়িত হয়, উদয়খালী এলাকায়। দুর্ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে মৃত্যুবরণ করেন। নিহতদের মধ্যে নাঈমও ছিলেন। তিনি আইইউটির মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নাঈমের মা নাহিদা ইয়াসমিনের সঙ্গে শেষ কথোপকথন হয়েছিল বনভোজনের আগের রাতে। মা-কে তিনি জানিয়েছিলেন, বনভোজন শেষেই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তিনি ফিরেছিলেন মৃতদেহে।

রবিবার ভোরে নাঈমের মরদেহ ফেনীর ফতেহপুরে তার বাড়িতে পৌঁছায়। সেখানে সকাল ১০টায় ফতেহপুর ঈদগাহ ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যাতে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

নাঈমের বাবা মীর মোতাহের হোসেন, যিনি সাউথইস্ট ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক, ছেলের অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ। তাঁর বড় ছেলে বাক্‌প্রতিবন্ধী, তাই নাঈমের ওপর পরিবারের অনেক আশা ছিল।

নাঈম ছিলেন মেধাবী শিক্ষার্থী, তিনি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেছিলেন এবং প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু দুর্ঘটনায় সেই স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেল।