দৌলতদিয়ায় ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে ফেরি থেকে নদীতে ফেলে দিল জনতা, শেষ মুহূর্তে উদ্ধার
- আপডেট সময় : ১০:২২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩ ২২২ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীর গোয়োলন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ছিনতাইকারী সন্দেহে বাদল মোল্লা (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে নদীতে ফেলে দেয় জনতা।
শনিবার বেলা সারে ১১ টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাটগামী ভাষা শহীদ বরকত নামে একটি রো রো ফেরিতে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিষয়টি টের পেয়ে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা দ্রুত ইঞ্জিন চালিত একটি ট্রলারের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করেন।
উদ্ধার হওয়া যুবক বরগুনার তালতলি উপজেলার তালুকদার পাড়া’র মৃত আব্দুল মালেক মোল্লার ছেলে।
মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। হঠাৎ নদীতে এক ব্যাক্তিকে ভেসে যেতে দেখে কাছাকাছি থাকা একটি ট্রলার চালককে নিয়ে ৫ ও ৭ নম্বর ফেরি ঘাটের মাঝামাঝি স্থান থেকে ওই ব্যাক্তিকে উদ্ধার করেন। আর একটু পড়ে গেলে হয়তো তাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হতো না। পরে তাকে স্হানীয় নৌ-পুলিশের হাতে তুলে দেই।
উদ্ধার হওয়া যুবক জানায়, সে ফেরিযোগে ঢাকায় যাচ্ছিল। সেখানে তার দুটি ছেলে মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। ফেরিতে এক ছিনতাইকারী এক মহিলার ভেনিটি ব্যাগ কৌশলে হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই সে দৌড়ে এসে আমার হাতে ব্যাগটা ধরিয়ে দিয়ে ভিড়ের মধ্যে আড়াল হয়ে যায়। পরে জনতা এসে আমাকে বেদম মারধর করে। এরমধ্যে এক যুবক আমাকে লাথি মেরে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়।
তিনি জানান, বেশ কিছুক্ষন ভেসে থাকতে পারলেও এক পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। আর ৫/৭ সেকেন্ড দেরি হলে হয়তো ডুবে মরে যেতাম।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর সিরাজুল কবির জানান, উদ্ধার হওয়া যুবক আমাদের হেফাজতে রয়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনাটি অধিকতর নিশ্চিত হতে তারা কাজ করছেন। তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।