সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ীতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ূয়া ছাত্র রিপন হত্যায় ১ জনের মৃত্যুদন্ড, ১২ জন খালাস
পদ্মা বুলেটিন ডেস্কঃ
- আপডেট সময় : ০৭:২০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩ ৭৮ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ূয়া ছাত্র সাইফুল ইসলাম ওরফে রিপন মণ্ডল হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদন্ড ও ১২ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ মোছাঃ জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন।
এ সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। এবং রায় ঘোষনার সময় তিনি পালাতক ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামী, মোঃ জামাল পত্তনদার উত্তর দৌলতদিয়ার ফেলু মোল্লা পাড়ার হোসেন পত্তনদারের ছেলে।
এদিকে রায় ঘোষনার পর আদালত প্রাঙ্গনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহত রিপন মন্ডলের বাবা মোহন মন্ডলসহ তার স্বজনরা। স্বাক্ষ্য প্রমান থাকার পরও তারা ন্যায় বিচার পান নাই এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
কান্নাজরিত কন্ঠে নিহত রিপনের বাবা মোহন মন্ডল বলেন, এটা কোন বিচার না, স্বাক্ষ্য প্রমানের পরও আমি ন্যায় বিচার পাই নাই।
রিপনের চাচাতো ভাই সোহেল মন্ডল বলেন, স্বাক্ষি প্রমানের পরও আমরা আদালতে ন্যায় বিচার পাই নাই, একজন ছাড়া সব আসামী খালাস হয়েছে। এটা হত্যা মামলার বিচার হয় নাই, বিচার হয়েছে রাজনৈতিক ভাবে । আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
আসামী পক্ষের আইনজীবি আশরাফুল হাসান আশা বলেন, দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ মামলায় দোষী সাব্যস্থ হওয়ায় ১ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং মামলার অন্য আসামীদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য প্রমান না হওয়ায় খালাস দিয়েছেন। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে আসামী পক্ষ ও আমরা খুশি।
জানাগেছে, নিহত সাইফুল ইসলাম রিপন ঢাকায় সাউথ-ইষ্ট বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ২০১৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাতের খাবার খেয়ে রিপন তার বন্ধু ফরিদের সাথে বাড়ী থেকে বের হয়। পরে ৭ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৩টার দিকে জামাল পত্তনদার, মো: ইয়াসিন শেখ, মো: শহিদ, মোঃ সুমন শেখ, হারুন সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রিপনের বুকে, মাথায় ও থুতনিতে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। এতে রিপন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ওই সময় তার বন্ধু ফরিদ’কে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখের মধ্যে গুলি করলেও সে মারাত্মক ভাবে জখম হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পড়ে নিহত রিপনের মামা খলিল বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন।