মোংলায় ধ্বংসের পথে চিংড়ি শিল্প’ হতাশ মৎস্য চাষিরা
- আপডেট সময় : ০৮:০১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩ ১০৫ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মোংলা বন্দর সহ সুন্দরবন উপকুলীয় এলাকায় ৫দিন যাবত বৈরী আবহাওয়া আর টানা বর্ষনে তলীয়েগেছে রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ী ও মাছের ঘের। পানি বন্ধি হয়ে পরেছে মোংলা শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষ। তলীয়েগেছে বন্দর কর্তৃপক্ষের মেইন গেট ও মেইন সড়ক। পানিতে একাকার হয়েছে প্রায় শহাস্রধিকের বেশী চিংড়ী ঘের ও পুকুর। সরকারের কাছে সহায়তা চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানালের উপজেলা প্রশাসন।
দক্ষিনাঞ্চলের রপ্তানী যোগ্য একটি বড় শিল্প হলো চিংড়ি শিল্প। মোংলাসহ এর আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকার চাষকৃত বাগদা ও গলদা চিংড়ী এ দেশ থেকে বিদেশে রপ্তানী করে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করে সরকার। আর এ শিল্পটি এখন ধ্বংসের দারপ্রান্তে পৌছেছে। একদিকে পোনা সংকট, ভাইরাস জনিত রোগ, লবনাক্ততা বৃদ্ধি ও তাপদাহ। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অনাবৃস্টি আর অতি বৃস্টির ফলে কোন দিকেই কাটিয়ে উঠতে পারছে না এখানকার ঘের মালিক ও মৎস্য চাষিরা।
সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে মৌশুমী বায়ুর প্রভাবে দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। ফলে নদীর পানি বৃদ্ধি ও টানা ৫দিন যাবত অতি বৃস্টিতে সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীর তীরবর্তী ইউনিয়নগুলোতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, বন্দরের মেইন গেট ও বাড়ি ঘর, ভেঙ্গেছে গাছপালাও। তলিয়েছে ১২শ ৭৪ হেক্টরের জমির প্রায় ৭২৮টি চিংড়ী ঘের। ধারদেনা করে তৈরী করা ঘের থেকে ভেসে গেছে কয়েকশ মন বাগদা চিংড়ী, গলদা ও সাদা মাছ। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে মোংলা উপজেলার মৎস্য চাষি ও ঘের মালিকরা।
মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার দিন থেকে সোমবার সারা রাত মুষলধারে বৃস্টি হচ্ছে মোংলা সহ সুন্দরবন সংলগ্ন উপকুলীয় এলাকায়। এতে বেশী ক্ষতি হয়েছে এ এলাকার মৎস্য চাষিদের। ভেসে গেছে বাগদ, গলদা ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সহ তাদের সংরক্ষিত মাছের ঘেরের ঘেরা-বেড়া। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন বলে জানায় তিনি। তবে ঘের মারিক ও মৎস্য খামারিদের সহয়তার জন্য তালিকা তৈরী করা হচ্ছে, সহায়তা পেলে কিছুটা হলেও উঠে দাড়াতে পারবে মৎস্য চাষিরা বলে জানায় মৎস্য কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপংকর দাশ বলেন, ঘর বাড়ির তেমন কোন ক্ষতি না হলেও টানা বর্ষনে বেশী ক্ষতি হয়েছে ঘের মালিক ও মৎস্য চাষিদের। এ এলাকায় টেকসই ভেরীবাধ, পৌর শহরে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যাবস্থা আর সরকারী সহায়তার জন্য দ্রুত তালিকা তৈরী করা হচ্ছে, মৎস্য বিভাগ সহ পাঠানো হবে উর্ধতন কর্তৃৃপক্ষের কাছে। তবে সরকারের সাথে সাথে নিজেদেরও সচেতন হবে, কালন ড্রেনেজ ব্যাবস্তা যতটুকু আছে তার সঠিক ব্যাবহার করতে পারলে কিছুটা হলেও জলাবদ্ধতা থেকে বেচে থাকা যায় বলে নগরবাসী প্রতি আহবান উপজেলা এ কর্মকর্তার।
মোংলা পৌরসভার শহর এলাকাসহ উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নের নদীর পাশে টেকসই ভেরীবাধ আর পৌর শহরে ড্রেনেজ ব্যাবস্থা সঠিক থাকলে বছরে ৫ থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন বাগদাঁ, গলঁদা ও ১৫ থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন সাদা মাছ চাষ করা সম্ভব হয় এ অঞ্চলে।##