সাঈদীকে নিয়ে স্ট্যাটাসের অভিযোগ, যা বললেন সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ খান রাজ
- আপডেট সময় : ১০:১০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩ ৭০ বার পড়া হয়েছে
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ তুলে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ খান রাজকে (২৬) বহিষ্কারের দাবি তুলেছে ছাত্রলীগের একটি অংশ।
এর জবাবে শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ২ টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে পাল্টা আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করেছে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ খান রাজের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ।
সংবাদ সম্মেলনে ফিরোজ খান রাজের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবী করেছেন ফিরোজ খান রাজ।
এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ খান রাজ দাবি করেন, যুদ্ধপরাধী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর ৫-৬ দিন পরে ফেসবুকে আমার নামে ভূয়া আইডি খুলে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া হয়। বিষয়টি নজরে আসা মাত্রই আমি তাৎক্ষণিক সালথা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি পক্ষ এ কাজ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ ছাত্রলীগ নেতা বলেন, বর্তমান সালথায় ছাত্রলীগ একটি সুসংগঠিত সংগঠন। কিছুদিন পূর্বে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রায়মোহন কুমার রায় এক কলেজ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে এবং দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করে। বিষয়টি ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। এরপর থেকে আমি ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু রায়মোহন সহ কিছু ছাত্রলীগ নেতা ঈর্ষান্বিত হয়ে ভূয়া ও মিথ্যা মামলাসহ আমার নামে ফেসবুকে ভূয়া আইডি খুলে সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে পোস্ট করে স্কিনসর্ট রেখে আইডিটি ডিজেবল করে দেয়। এরপর থেকে এটাকে পুঁজি করে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এছাড়া আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে তারা উঠেপড়ে লেগেছে। আমি এই মিথ্যা অপবাদ দেওয়াদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন -সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমামুল হোসেন, আরেক সহ-সভাপতি লিমন ইসলাম, অপর সহ-সভাপতি নাইম মুন্সি ও সাকিব হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক তালহা বিন রাব্বি, দপ্তর সম্পাদক মো. নিয়ামত সহ উপজেলা ছাত্রলীগের অন্তত ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী।
এব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বাংলানিউজকে বলেছিলেন, আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ খান রাজের নামে ও তার ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে একটি ফেক আইডি খুলে সাঈদীকে নিয়ে পোস্ট দেওয়া হয়। পরে একটি পক্ষ স্কিন শর্ট রেখে আইডিটি ডিজেবল করা হয়েছে বলে জেনেছি। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ফিরোজ খান রাজ। ফিরোজ খান রাজের ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিষয়টি ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা উপজেলা) আসনের এমপি মহোদয়ও অবগত।
প্রসঙ্গ, শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুক পোস্টের অভিযোগ তুলে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ খান রাজকে বহিষ্কারের দাবি তুলে ছাত্রলীগের একটি অংশ। এটাকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে পাল্টা আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে ফিরোজ খান রাজের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ।