মোংলায় ’মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক
- আপডেট সময় : ০৮:০০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
“এলএনজি ভিত্তিক টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করো, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি বাস্তবায়ন করো” শ্লোগানে ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মোংলা নাগরিক সমাজ, ক্লিন খুলনা ও বাংলাদেশ বৈদেশিক দেনা কর্মজোট ( বিডাব্লিউজিইডি ) আয়োজনে গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জ্বালানি অধিকার সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন পেট্রল, ডিজেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ প্রায় সব জীবাশ্ম জ্বালানিতেই কার্বন বিদ্যমান এবং তা পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদন করলে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হবেই। এই কার্বন ডাই-অক্সাইডই পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বাড়িয়ে দিয়েছে, পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত ওজোনস্তরকে। এই পরিস্থিতি চলমান থাকলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ৩, ৪ বা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে, যতক্ষণ না নিঃসরণ বন্ধ হয়। এটি আমাদের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এবং সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে দুই মেরুতে থাকা বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি করছে। ফলে কার্বনের এই নিঃসরণ যদি কমিয়ে আনা না যায়, তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে বছরে একবার করে ৩০ কোটি মানুষ বসবাসের বিশাল এলাকা সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যাবে (অভিজ্ঞজনের ধারনা)। তাই আমাদের দেশের অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় এলএনজি টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করতে হবে এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়ন করতে হবে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা( MCPP) অনুসারে আমাদের লক্ষ্য আমাদের নিজস্ব স্থায়ীত্ব, জ্বালানি স্বাধীনতা এবং জ্বালানি সুরক্ষিত করা এবং বিশ্বে সবুজ জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ হয়ে ওঠা এবং, আন্তর্জাতিক এবং অন্যান্য বিনিয়োগ ও সহযোগিতার মাধ্যমে আধুনিকায়ণ করা। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% এবং ২০৪১ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৪০% ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ পর্যন্ত নবায়নযোগ্য শক্তিতে পৌঁছানো।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ। গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি নাগরিক নেতা সাংবাদিক এইচ এম দুলাল, মোংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল হায়দার ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমু, সাংবাদিক নেতা মো: হাসান গাজী, সময় টিভির স্টাফ রির্পোটার মাহমুদ হাসান , গাজী টিভির মনিরুল ইসলাম দুলু, নাগরিক নেতা নাজমুল হক, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শান্ত, সাংবাদিক শেখ রাসেল, সাংবাদিক আলী আজম, সাংবাদিক হাছিব সরদা, সাংবাদিক বিএম ওয়াসিম আরমান,কমলা সরকার প্রমূখ।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন অগ্রযাত্রার অন্যতম নয়িামক হলো বদ্যিুৎ ও জ্বালানী খাত। ২০৪১ সালরে মধ্যে উন্নত বশ্বি বনির্মিাণরে পথে এগয়িে চলছে বাংলাদশে। এ লক্ষ্যমাত্রা র্অজনরে জন্য দশেরে জ্বালানি খাত গুরুত্বর্পূণ ভূমকিা রাখবে। জ্বালানি খাতরে বশিষেজ্ঞদের মতে র্বতমানে বাংলাদশেে দ্রুত ও ব্যাপক শল্পিায়নরে প্রধান সমস্যা হলো প্রাথমকি জ্বালানির স্বল্পতা। বিশেষ করে বিকল্প জ্বালানরি বষিয়টি নিশ্চিত না করার কারণে বাংলাদশেকে স্বল্প, মধ্য ও র্দীঘময়োদি সমাধান খুঁজতে আমদানকিৃত জ্বালানরি ওপর নির্ভর করতে হচ্ছ। এক জরীপ অনুযায়ী, ২০৩০ সালরে মধ্যে বাংলাদশেে ব্যবহৃত মোট জ্বালানরি ৯০ শতাংশ হবে আমদানি করা। আর এজন্য বাংলাদশেকে মোটা অংকরে র্অথ জোগান দতিে হবে। সরকার ভর্তুকি দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কথা হলো,আমাদের নিজেদের সক্ষমতা থাকা স্বত্তেও কেনো আমারা আমদানি নির্ভর জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। কেন আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি? অথচ,আমরা যদি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আমাদের বিনিয়োগটা আরও বাড়াতে পারি, তাহলে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ অনেকটা কমে আসবে। সরকারের ভর্তুকি-ও দেয়া লাগবেনা বরং এতে আমাদের বিদ্যুৎ সেক্টর আরও লাভ করতে পারবে। আমরা সে দিকে না যেয়ে বিদেশীদের দেয়া প্রেসক্রিপশন অনুয়ায়ি এলএনজি, কয়লা ও ডিজেল চালিত বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করেই চলেছি, লস করেই চলেছি, এবং ভর্তুকিও দিয়েই চলেছি। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির কাছে দেয়া এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায় ৯ মাসে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয়েছে। যা আমাদের অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলছে। কাজেই জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়ন করার এখনই সময়।