পাচারের সময় ৬৬০ টন কয়লা ও ২টি কার্গো সহ ৪১ চোরাকারবারী আটক
- আপডেট সময় : ০৯:২১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে
মোংলা বন্দরে আমদানী হওয়া কয়লা পরিবহন কালে পাচারের সময় ৬৫০ মেট্রিকটন কয়লাসহ ৪১ পাচারকারীকে আটক করেছে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা।
রবিবার ভোররাতে খুলনা জেলার বৈটাঘাটা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় কয়লা পরিবহন কাজে ব্যবহত কার্গো জাহাজ “এমভি আল রত্না ও এমভি তানজিলা-২” সহ নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কর্মকর্তা লে: কমান্ডার সাব্বির আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মোংলা সমুদ্র বন্দরের হারবাড়িয়ায় অবস্থানরত একটি বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ থেকে ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে রবিবার গভীর রাতে যশোর নোয়াপাড়া ঘাটের উদ্যেশে রওয়ানা হয় “এমভি আল রত্না” নামের একটি কার্গো জাহাজ। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে খুলনার বৈটাঘাটা নামক স্থানে ওই কয়লা অন্যাত্র পাচারের জন্য সেখানে অবস্থান করে কার্গো জাহাজের মাস্টার, সুকানী সহ অন্যান্য কর্মচারীরা। এখানে কয়লা পাচার হবে এমন গোপন খবর আসে মোংলা কোস্টগার্ড সদস্যদের কাছে। পরে পাচারের কাজে ব্যাবহৃত “এমভি তানজিলা-২”তে কয়লা বোঝাই করার সময় দ্রুত কোস্টগার্ড সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে অভিযান চালিয়ে আটক দুই কার্গো জাহাজের কর্মচারী সহ পাচারের কাজে জড়িত ৪১ জন চোরাকারবারীদের হাতে-নাতে আটক করে। এসময় দুইটি কার্গো জাহাজ বোঝাই ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা, চোরাকারবারীদের বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম নগদ এক লক্ষ টাকা সহ অন্যান্য মুল্যবান মালামা জব্দ করে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
রবিবার দুপুরের পর কোস্টগার্ড সদর পশ্চিম জোন কার্যলয় সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য প্রদান করেণ কোস্টগার্ড সদস্যরা। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চোরাকারবারীদের নাম পরিচয় পাওয়া না গেলেও তাদের বাড়ি মোংলা ও খুলনার বৈটাঘাটার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে। পরে পাচারকারীদের পরবর্তী আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা
মোংলা বন্দরের ষ্টিভিডরস ব্যাবসায়ী আলহাজ্ব এইচ এম দুলাল জানান, দেশ-বিদেশী জাহাজে চুরি-ডাকাতীর হওয়ার ফলে বিদেশ থেকে জাহাজ মালিক মোংলা বন্দরে জাহাজ দিতে অপ্রগতা প্রকাশ করতো। কারণ, আমদানীকারদের কোটি কোটি টাকার পন্য বিদেশ থেকে এনে তা সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিতে না পারলে বিশ্বের বানিজ্যিক বাজারে মোংলা বন্দরের সুনার নষ্ট হওয়ার ফলে মোংলা বন্দর মৃত বন্দরে পরিনত হয়েছিল। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় এখন ঘুড়ে দাড়িয়েছে মোংলা সমুদ্র বন্দর, তাই একটি কু-চক্রি মহল পুনরায় এ বন্দরকে ধংশ করার জন্য আবার চোরাকারবারী শুরু করেছে। এদের আইনের অঅয়োতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী এ ব্যাবসায়ীর।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের লে. কমান্ডার সাব্বির আহম্মেদ বলেন, কোস্টগার্ড সদস্যরা মোংলা বন্দরের চোরাকারবারী, চোরা চালান, ডাকাতি ও সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় সর্বদাই প্রস্তুত রয়েছে। আজ কয়লা চোরাকারবারীর ৪১ সদস্যকে আটক করা হগয়েছে। এর সাথে কোন প্রভাশালী জড়িত তদন্ত করে তাদের বের করে আইনের আয়োতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে বলেও জানায় এ কর্মকর্তা। রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দের জন্য আনা কয়লা সহ মোট ৪টি কয়লার জাহাজ মোংলা সমুদ্র বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করছে।##