মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দর হিসেবে রূপান্তর করা হবে –নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
মাসুদ রানা, মোংলা (বাগেরহাট)
- আপডেট সময় :
০৯:০০:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
৩৯
বার পড়া হয়েছে
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ
(Google News) ফিডটি
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বন্ধু প্রতিম দেশ ভারত যদি তাদের বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয় এবং নেপাল ও ভুটানের জন্য ট্রানজিট সুবিধা নিশ্চিত হয়, তবে মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দর হিসেবে রূপান্তর করা সম্ভব।
এছাড়া, মোংলা বন্দরের সাথে আখাউড়া ও সিলেটের দুটি স্থলবন্দরকে কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে চীনা কোম্পানির সাথে “এল ও সি-৩” প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা আগামী দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। ফলে মোংলা বন্দর আধুনিক, নিরাপদ এবং বিশ্বমানের একটি স্মার্ট সমুদ্রবন্দর হিসেবে গড়ে উঠবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) সকালে মোংলা বন্দরের নৌ-চ্যানেল ও জেটি পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো জানান, মোংলা বন্দরের কনফারেন্স রুমে বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বন্দরের ড্রেজিং কার্যক্রম, উন্নয়ন প্রকল্প, জাহাজ, কার্গো, কন্টেইনার, গাড়ি আমদানি, এবং সার্বিক কার্যক্রমের ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়। এ সময় বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ড. সাখাওয়াত হোসেন জানান, মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর এবং ভৌগোলিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বন্দরটি ঢাকার সাথে সড়ক পথে মাত্র ২১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বন্দরটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হচ্ছে, যা শেষ হলে এটি ভারত, নেপাল ও ভুটানের জন্য ব্যবহারের উপযোগী হবে এবং চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কমবে।
তিনি আরও বলেন, খুলনা ও যশোরের বন্ধ ৫টি পাটকল পুনরায় চালুর লক্ষ্যে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ইজারা দেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে।
তিনি আরও জানান, মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বিবেচনা করে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে এই বন্দরের সুবিধাসমূহ তুলে ধরতে হবে।
আমদানি-রপ্তানিকারকদের এই বন্দর ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। এর মাধ্যমে মোংলা বন্দর একটি বিশ্বমানের আধুনিক সমুদ্র বন্দরে পরিণত হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন