আজ মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৭ তম জন্মবার্ষিকী
নেহাল আহমেদ, রাজবাড়ী
- আপডেট সময় :
০৩:৩৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
১১
বার পড়া হয়েছে
Oplus_131072
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ
(Google News) ফিডটি
মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার গৌরী নদীর তীরে লাহিনীপাড়ায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।তার পৈতিকবাড়ী রাজবাড়ী জেলার পদমদী গ্রামে। তার বাবার নাম মীর মোয়াজ্জেম হোসেন এবং মাতার নাম দৌলতন নেছা। তিনি ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে পৈত্রিক নিবাসে মারা যান। পদমদীতেই তাকে সমাহিত করা হয়। তার স্মৃতি রক্ষার্থে পদমদীতে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।
১৭৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মীরের সমাধিস্থল পদমদীতে বুধবার উপজেলা প্রশাসন, বাংলা একাডেমি, মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্যে পরিষদ, মীর মশাররফ হোসেন কলেজ ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাসিবুল হাসান জানান, সাহিত্য সম্রাট মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিস্থলে উপজেলা প্রশাসন ও বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। মীর মশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজ, মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও দিবসটিকে ঘিরে পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করবে।
এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্যে রয়েছে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠান।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে বাংলা একাডেমির সচিব মোহা. নায়েব আলী, প্রবন্ধ পাঠ করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর।
এছাড়াও মীর মশাররফ হোসেন সম্পর্কে আলোচনা করবেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল ফজল, রাজবাড়ী মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি সালাম তাসির, বালিয়াকান্দি মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মুন্সী আমির আলী এবং স্বাগত বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাসিবুল হাসান।
উল্লেখ্য, মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন মুসলিম বাংলা সাহিত্যের অমর অগ্রপথিক। তার আগে কোনও মুসলিম সাহিত্যিক সাহিত্য ক্ষেত্রে এতোটা অগ্রসর হননি। বাংলার মুসলমান সমাজের দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দীর জড়তা দূর করে আধুনিক ধারায় ও রীতিতে সাহিত্য চর্চার সূত্রপাত ঘটে তাঁর শিল্পকর্মের মাধ্যমে। তার সৃষ্টি কর্ম বাংলার মুসলমান সমাজে আধুনিক সাহিত্য ধারার সূচনা করে। তিনি সাহিত্যের সকল শাখায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। এদিক থেকে তিনি মুসলিম জাগরণের পথিকৃৎ।
নিউজটি শেয়ার করুন