সেনাবাহিনী মাঠে থাকার সময়কাল নির্ধারণের বিষয়ে সেনাসদরের মন্তব্য
- আপডেট সময় : ০৪:২৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে
সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশন্স পরিদপ্তরের (ডিএমও) কর্নেল স্টাফ ইন্তেখাব হায়দার খান। বুধবার (১৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সরকার চাইলে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে এবং সরকারের সিদ্ধান্তেই তাদের মাঠে থাকার সময়কাল নির্ধারিত হবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা এবং সেনাসদরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার বলেন, “সেনাবাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। এই বিষয়ে সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশনা রয়েছে, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।” তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো অভিযোগ আসে, তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সেনাবাহিনীর বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা ইতোমধ্যে ৬,০০০ অবৈধ অস্ত্র এবং ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে এবং এ সংক্রান্ত আড়াই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনী দেশের শিল্পাঞ্চলে ৬০০-এর অধিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে, যার ফলে গার্মেন্টস কারখানাগুলো সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, “ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব পুলিশের। তবে, প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সহায়তা করতে প্রস্তুত।”
জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হকের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর কাছে তার সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। এছাড়াও, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কিছু অস্ত্রের খোঁজ চলছে এবং পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর কিছু উদ্ধার হয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল ইন্তেখাব জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন এবং তার ওপরের পদবির কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা এখনো চলমান রয়েছে। এই বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহারে সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।