সংলাপের জন্য ডাকাডাকি করছে রাষ্ট্রপ্রতি, এই সংলাপ অর্থহীন-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
- আপডেট সময় : ০৬:৩২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবীতে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্রপ্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের জন্য ডাক দিয়েছেন। তিনি এই সংলাপকে অর্থহীন বলে উল্লেখ্য করেন। এই সংলাপ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। জনগনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না।
তিনি বলেন, বাংলার জনগণকে বোকা ভাববেন না, ২০১৮ সালে নির্বাচনে আগের রাতে ভোট দখল করে নিয়ে গেছে। পরে দিন জনগন ভোট দিতে পারেনি। ১৫৪ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তখন ও একটি সংলাপ করেছিলো।
এখন আবার সংলাপের জন্য ডাকাডাকি করছে রাষ্ট্রপ্রতি। এই সংলাপ অর্থহীন। গণতন্ত্রের সমস্যার সমাধান হবে না। জনগনের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে না। নির্বাচন কমিশনের সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে সরকারের। নির্বাচন কালিন সরকারটা কে থাকবে। সেটা কি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে, না হাসিনার সরকার থাকবে। যদি হাসিনার সরকার থাকে তাহলে ভোটও নিরপেক্ষ হবে না।
তিনি আরো বলেছেন, খালেদা জিয়া আজ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সংবিধানের ৪১০ ধারাতে সুযোগ আছে বিএনপির চেয়ারপারসনকে বিদেশে চিকিৎসার। কিন্তু নানান অজুহাতে বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন ,খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায় দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন,এই সরকার দেশের সকল সুন্দর জিনিস ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্র বিচার বিভাগসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। গুম খুন হত্যা অপহরণ এই সমন্ত অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ দেশের বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন।
অবৈধ সরকার জনগন দেখে ভয় পায়। সরকারি বাহীনি দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের আজও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। জনগন বিহীন এই সরকার গনতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য খালেদা জিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এখনো তিনি হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিঃক্ষণে রয়েছেন। সারা দেশের মানুষের দাবি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি সরকারের কানে যায়না। যদি খালেদা জিয়ার কোন কিছু ঘটে তবে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবীতে মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবীর জিন্নাহ, সিনিয়র যুগ্ন-সধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরতাজ আলম বাহার, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন জাদু, যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, যুগ্ম আহবায়ক তুহিনুর রহমান তুহিন, শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন, কৃষকদলের আহবায়ক মনি, সাবেক সহ-সভাপতি জিয়া উদ্দিন কবির, সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক জিন্নাহ খান, মহিলা দলের সভাপতি সাবিহা হাবিব, সাধারণ সম্পাদক কামরুন্নাহার মুন্নি উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, এই সরকার ১০ টাকা কেজি করে চাল দেওয়ার কথা বলে ক্ষতায় এসেছে। এখন দেশে চালের দাম ৭০ টাকা । ঘরে ঘরে চাকুরির কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন চাকুরির জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা গুনতে হচ্ছে চাকুরি প্রার্থীদের ।
মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উল্লখ্য করে বলেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ও দ্রুত মুক্তির দাবি করেন। দেশের আইন আছে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর। তাকে বিদেশে পাঠানো অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না। সরকার তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছেন।
তিনি দেশের মানুষকে ১৯৭১ ও ১৯৯০ সালের মত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে উৎখাত করতে আহবান জানান। অবৈধ সরকার জনগন দেখে ভয় পায়। সরকারি বাহীনি দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের আজও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। জনগন বিহীন এই সরকার গনতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে।