করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি উর্দ্ধমুখি হলে সরকার লকডাউন দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করতে পারে-স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৫:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২ ১৫১ বার পড়া হয়েছে
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি উর্দ্ধমুখি হলে সরকার লকডাউন দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করতে পারে। আমরা লকডাউন চাই না। করোনা নিয়ন্ত্রনে আমাদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্য সরকার আরো কঠোর হবেন।
তিনি আরো বলেছেন, ‘ওমিক্রণের হানা থেকে সারা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশের অবস্থা ভালো। ইতোমধ্যে প্রতিষেধক হিসেবে করোনার মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট দেশের বাজারে এসেছে। তবে এই ট্যাবলেট টিকার বিকল্প নয়। করোনা আক্রান্ত মাঝামাঝি ব্যক্তি যাদের মৃদু সমস্যা রয়েছে তারা এই ট্যাবলেট সেবন করতে পারবে।
শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জ নার্সিং কলেজ মিলনায়তনে বুস্টার ডোজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘অমিক্রণের হানা থেকে সারা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশের অবস্থা ভালো। ইতোমধ্যে প্রতিষেধক হিসেবে করোনার মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট দেশের বাজারে এসেছে। তবে এই ট্যাবলেট টিকার বিকল্প নয়। করোনা আক্রান্ত মাঝামাঝি ব্যক্তি যাদের মৃদু সমস্যা রয়েছে তারা এই ট্যাবলেট সেবন করতে পারবেন।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন ‘ইতোমধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জানুয়ারি মাসে অন্তত চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে। ‘দেশে টিকার কোনো অভাব নেই। ইতোমধ্যে টিকা দেওয়ার সব ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করা হয়েছে। টিকা দেওয়ার জন্য নতুন আরও ছয় কোটি সিরিঞ্জ চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জানুয়ারি মাসে অন্তত চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে। এতে করে আশা করা যায়, আগামী এপ্রিল-মে বাসের মধ্যেই আমরা সাড়ে ১২ কোটি জনগণকে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে পারবো।’
মন্ত্রী আরো বলেছেন,’দেশে টিকার কোনো অভাব নেই। ইতোমধ্যে টিকা দেওয়ার সব ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করা হয়েছে। টিকা দেওয়ার জন্য নতুন আরও ছয় কোটি সিরিঞ্জ চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে।’
‘অমিক্রণে যুক্তরাজ্যে এক লক্ষ ও আমেরিকাতে চার লক্ষ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছে। আমাদের দেশে এই অবস্থা আমরা চাই না। আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রাথমিকভাবে মাক্স আমাদের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাবে। সংক্রমণের হার যেভাবে বাড়ছে, স্বাস্থ্য বিধি মানার বিষয়ে আমরা কঠোরতা অবলম্বন করব।’
বুস্টার ডোজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ সামিউল ইসলাম, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডাঃ শামসুল হক, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র রমজান আলী, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন, সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) লুৎফর রহমান, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল প্রমুখ উপস্থিত ছিল।