সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::
দাদশী ইউপির সিংঙা বাজারে অস্থায়ী পশুর হাট, প্রথম দিনেই বিপুল সংখ্যক পশুর সমাহার
পদ্মা বুলেটিন ডেস্কঃ
- আপডেট সময় : ১০:৪৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩ ৭১ বার পড়া হয়েছে
উদ্বোধনের প্রথম দিনই জমে উঠেছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের সিংঙা বাজারের অস্থায়ী পশুর হাট। শুক্রবার দুপুরে দাদশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেখ দেলো সহ বাজার কমিটি এই পশু হাটের উদ্বোধন করেন।
এই হাটটি প্রতি শুক্র ও মঙ্গলবার নির্ধারন করা হয়েছে। তবে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আগামী মঙ্গল ও বুধবার দু’দিনই হাট বসবে।
সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, দেশী, ফ্রিজিয়ান, শংকর সহ বিভিন্ন জাতের ছোট বড় প্রায় শতাধিক গরু ও ২০টি বেশি খাসি হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছে পশুর মালিক ও ব্যাপারীরা। এ সময় ক্রেতারা ঘুরছেন পছন্দের পশুটি কিনতে। এবং উদ্বোধনের দুই ঘন্টার মধ্যে ৪টি গরু ও ২টি খাসি বিক্রি হয়েছে। হাটে বিশাল দেহের অধিকারী ৩৫ থেকে ৪০ মনের রাজবাড়ীর সিংহরাজ সহ বেশ কয়েকটি বড় গরু উঠেছে।
ক্রেতারা বলেন, হাটে বড় ছোট সব ধরনের গরু ও ছাগল আছে। কিন্তু দাম একটু বেশি। তবে পছন্দ হলেই কিনবেন। তবে হাট বসানোর জন্য চেয়ারম্যানসহ বাজার কমিটিকে ধন্যবাদ।
ব্যাবসায়ীরা বলেন, হাটে দেশী জাতের গরুর সংখ্যা বেশি। অনেক গরু উঠেছে। সে অনুযায়ী ক্রেতা কম। আবার অনেকে নতুন হাট দেখতে এসেছে। তবে আশা করছেন সময় যত যাবে ততই ক্রেতাদের সমাগম বাড়বে। এছাড়া হাটে বড় বড় গাছ থাকায় পশু, ক্রেতা ও তাদের সবার জন্যই ভাল হয়েছে। হাসিল কম থাকায় তারা খুশি।
দাদশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেখ দেলো বলেন, ইউনিয়ন বাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি ছিলো একটি পশুর হাটের। তিনি নির্বাচিত হবার পর জনগণের ইচ্ছা পূরনে কাজ শুরু করেন। যার ধারাবাহিকতায় সিংঙা বাজার কমিটির দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসনের অনুমোতি নিয়ে অস্থায়ী হাট বসানোর ব্যবস্থা করেন। আজ প্রথম হাট। প্রথম দিনে এতো পশু বাজারে উঠবে তিনি নিজেও ধারনা করতে পারেন নাই। এবং হাটে ক্রেতা ও ব্যাপারীরাও অনেক আছে। বাজারে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি তিনি নিজেও হাটে তদারকি করছেন। ক্রেতা এবং ব্যবসায়ী সবার নিরাপত্তা রয়েছে। এছাড়া টাকা লেনদেনের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থাও রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এই হাটে নাম মাত্র হাসিল নেওয়া হচ্ছে। ক্রেতারা ১ লক্ষ টাকার ওপরের পশু কিনলে ১ হাজার এবং ১ লক্ষ টাকার নিচের পশু হলে মাত্র ৫শ টাকা। এছাড়া ব্যাপারীরা যত টাকার পশুই কিনুক না কেন, তাদের হাসিল মাত্র ৫শ টাকা। আশা করছেন আগামী মঙ্গল ও বুধবার হাট আরও জমে উঠবে। এবং এই হাটটি স্থায়ী হাট করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া এই হাটটি জেলার মধ্যে বৃহৎ একটি পশুর হাট হবে বলে তিনি আশাবাদী। এ জন্য প্রশাসনসহ বাজার কমিটি ও স্থানীয়দের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সিংঙা বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক সুমন শেখ বলেন, প্রথম দিনেই বিপুল সংখ্যক গরু-ছাগল উঠেছে। আশা করছেন বেচা কেনাও ভাল হবে। এবং আগামী দুই দিন আরও জমজমাট হবে হাট। এই হাটের মত আশপাশে এতো পশু কোন হাটে উঠবে না।