রাজবাড়ীতে যোগ দিয়েই ছাত্র আন্দোলনে নিহত গণির বাড়ীতে গেলেন ডিসি
জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
- আপডেট সময় :
০৩:২৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
১৬
বার পড়া হয়েছে
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ
(Google News) ফিডটি
রাজবাড়ীতে যোগ দেয়ার দুই দিনের মাথায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবদুল গণির বাড়ীতে গেলেন রাজবাড়ীর নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর নতুন বাজার এলাকায় আবদুল গণির নিজ বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী লাকি আক্তার ও ছয় বছর বয়সি মেয়ে জান্নাত আক্তারকে নতুন পোশাক উপহার দেন নবাগত জেলা প্রশাসক।
এছাড়া পরিবারের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ফল ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যান তিনি।
জেলা প্রশাসককে নিজ বাড়িতে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন শহীদ আবদুল গণির স্ত্রী লাকি আক্তার ও মেয়ে জান্নাত আক্তার। এসময় তাদেরকে দ্রুত জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে অনুদানের টাকা প্রদানের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিদ্ধার্থ ভৌমিক, রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রবিউল আলম, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) নাহিদ আহমেদ ও সহকারী কমিশনার অংকন পাল।
গত ৩ নভেম্বর রাজবাড়ী জেলার নতুন জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশান-২ এ সিক্সসিজন নামক আবাসিক হোটেলের কারিগরি বিভাগে কাজ করতেন আবদুল গণি। গত ১৯ জুলাই সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার গুপীপাড়ার বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে রওনা হন গণি। পথে শাহজাদপুর বাঁশতলা এলাকায় আন্দোলন ঘিরে সংঘাতের মধ্যে পড়েন তিনি। সংঘর্ষ চলাকালে তার মাথার ডান পাশে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকেন গণি। পরে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শহীদ আবদুল গণি (৪৫) রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার আবদুল মজিদ শেখের ছেলে। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী লাকি আক্তার, ২০ বছর বয়সী ছেলে আলামিন শেখ ও ছয় বছর বয়সী মেয়ে জান্নাত।
নিউজটি শেয়ার করুন