কালুখালীতে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ১২:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ৭১ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীর কালুখালীতে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে বিশেষ স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় কালুখালী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গণঅভ্যুত্থানে শহীদ রতনদিয়া গ্রামের কুরবান ও আহত মদাপুরের রকিবুল ইসলাম, মজবাড়ীর জাকির হোসেন এবং বোয়ালিয়া ইউনিয়নের রবিউল ইসলাম ও মিজানুর রহমানের স্মৃতি চারণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহুয়া আফরোজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পূণিমা হালদার, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুতপা কর্মকার, সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আতাহার আলী এবং ছাত্র প্রতিনিধি মীর মাহমুদ সুজন।
মডেল মসজিদের ইমাম ইমরুল কায়েসের পরিচালনায় শহীদ কুরবানের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সভায় শহীদ কুরবানের পরিবারের হাতে একটি ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, শহীদ কুরবানের স্মরণে একটি পাঠাগার নির্মাণ এবং চাঁদপুর চত্বরের নাম শহীদ কুরবানের নামে নামকরণের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
শহীদ কুরবানের কন্যা স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেন, “আমার বাবা আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সাভারের বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। গুলির শব্দ শুনে আমি বাবাকে বলেছিলাম, ‘বাবা, গুলি হচ্ছে, তুমি বাড়ি চলে এস।’ তিনি বলেছিলেন, ‘দোকান বন্ধ করে চলে আসছি।’ এরপর আর কোনো কথা হয়নি। আমার বাবা কোনো মিছিলে যাননি, তবুও তাকে কেন গুলি করে হত্যা করা হলো?”
তিনি আরও বলেন, “বাবার মৃত্যুর পর আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমাদের লেখাপড়ার খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমার মতো কোনো সন্তান যেন আর এতিম না হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যেন কোনো সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করা হয়।”
গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের এই স্মরণ সভা স্থানীয় জনগণের মধ্যে গভীর আবেগ ও সচেতনতা তৈরি করেছে। শহীদ পরিবারের প্রতি সরকারি সহায়তা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।