রাজবাড়ীতে উদীচীর নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০৫:১৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী রাজবাড়ী জেলা সংসদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে ‘সত্যেন-রণেশের আঁকা পদচিহ্নে, লাল খামে আমাদের ঠিকানা অভিন্ন’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শহরের আজাদী ময়দান এলাকায় সংগঠনের জেলা কার্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আড্ডা, আলোচনা, গান, কবিতা আবৃত্তি পরিবেশনা ছিল অন্যতম আকর্ষণ।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক শংকর চন্দ্র সিনহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এজাজ আহম্মেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সহসভাপতি আজিজুল হাসান খোকা।
বিকেল ৫টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অভিষেকের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর পরিবেশিত হয় সংগঠনের সংগীত। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সদ্য প্রয়াত ফকীর শাহাদাত হোসেনের মায়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উদীচী নিয়ে স্মৃতিচারণ ও অনুভূতি প্রকাশ করেন, কমরেড আবদুস সামাদ মিয়া, সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), রাজবাড়ী জেলা কমিটি, আল মামুন বিন সালেহ, কালচারাল অফিসার, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, আসাদুজ্জামান চৌধুরী বাবলা, সভাপতি, রাজবাড়ী থিয়েটার, আবদুস সাত্তার মণ্ডল, সভাপতি, জেলা কৃষক সমিতি, স্বপন কুমার দাস, সভাপতি, বাংলাদেশ জাসদ, রাজবাড়ী, কবি নেহাল আহমেদ, সভাপতি, রাজবাড়ী লেখক-পাঠক কেন্দ্র, অজয় দাস তালুকদার, নাট্যকার ও পরিচালক, মুক্ত আনন্দ, আজাদ সিদ্দিকী মিলন, সভাপতি, বৈচিত্র্য সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন
অনুষ্ঠানে উদীচীসহ জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গান পরিবেশন করেন, ধীরেন্দ্রনাথ দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক, উদীচী, মো. আবদুল জব্বার, সংগীত বিষয়ক সম্পাদক, উদীচী, আজাদ সিদ্দিকী মিলন, সভাপতি, বৈচিত্র্য সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন, সুমা কর্মকার, দপ্তর সম্পাদক, উদীচী, মলীনা পারভীন, কানিজ ফাতেমা ও আবদুল আওয়াল।
কবিতা আবৃত্তি করেন, উৎসব চক্রবর্তী ও জারা।
পরবর্তীতে দ্বাদশ সম্মেলনে নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের পরিচয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, উদীচী জন্মলগ্ন থেকে গণতান্ত্রিক, মৌলবাদবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। ১৯৬৮, ১৯৬৯, ১৯৭০ ও ১৯৭১ সালে সংগঠনটি বাঙালির সার্বিক মুক্তির চেতনাকে ধারণ করে সাংস্কৃতিক সংগ্রামে ভূমিকা রাখে। ১৯৭১ সালে উদীচীর কর্মীরা প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। বর্তমানে দেশে উদীচীর তিন শতাধিক শাখা রয়েছে এবং রাজবাড়ীতেও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে।
বক্তারা আরও বলেন, উদীচীর কণ্ঠরোধের চেষ্টা বিভিন্ন সময় করা হলেও সংগঠনটি সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।