সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ীতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস, এলাকায় চাঞ্চল্য

জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
- আপডেট সময় : ০৩:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ী সদর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমানের আপত্তিকর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফেসবুকে এক মিনিট দুই সেকেন্ডের এই ভিডিওটি ভাইরাল হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষে উলঙ্গ অবস্থায় শার্ট ও প্যান্ট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন হাফিজুর রহমান। এক যুবক তাকে চড়-থাপ্পড় মারার পাশাপাশি গালিগালাজ করছেন, পাশ থেকে আরেক যুবক হুমকি দিচ্ছেন। এ সময় একজন নারী বোরকা পরে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ভিডিওতে হাফিজুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, বিষয়টা আমি বুঝছি, সমস্যা নাই। আমি ব্যবস্থা করতেছি, সমস্যা নাই। বিষয়টি যেইটুকু আছে, এইটুকুই থাক।
অপর যুবকরা উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, গলার স্বর নামান, বেয়াদবি করতেছেন কেন? সিনক্রেট করতেছেন কেন?
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, রাজবাড়ী উপসহকারী কৃষি অফিসার ও সভাপতি, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (ডিকেআইবি), রাজবাড়ী সদর হাফিজুর রহমান লুচ্চামি করতে গিয়ে ধরা। ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার রাতে সূর্যনগরে।
তবে ভিডিওটি ঠিক কোথায়, কবে ধারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
হাফিজুর রহমানের ব্যক্তিগত ও সরকারি নম্বরে যোগাযোগ করা হলে এক নারী জানান, তিনি ফোন বাসায় রেখে বাইরে গেছেন। পরে আবার ফোন করলে দুটি নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে, রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিস ও মিজানপুর ইউনিয়ন কৃষি অফিসে গিয়েও হাফিজুর রহমানকে পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, হাফিজুর রহমানের বাড়ি গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের হোসেন মন্ডলের পাড়ায় । তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নে কর্মরত এবং ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (ডিকেআইবি), রাজবাড়ী সদর উপজেলার সভাপতি। পাশাপাশি তিনি বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদের রাজবাড়ী জেলা শাখার অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে একই কর্মস্থলে আছেন। নিয়মিত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন এবং বদলির জন্য তদবির ও আর্থিক লেনদেন করেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে পার পেয়ে যান।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বলে শুনেছি, তবে ভিডিওটি আমি নিজে দেখিনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও তদন্তের দাবি উঠেছে। জনমনে প্রশ্ন, একজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকার পরও কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।