সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::
৫ আগস্টের আগে সংস্কার করতে চেয়েছিল বিএনপি, সংস্কার আন্দোলনের মহানায়ক তারেক রহমান

জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
- আপডেট সময় : ০৩:০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, “৫ আগস্টের আগে বিএনপি সংস্কার করতে চেয়েছিল। সংস্কার আন্দোলনের মহানায়ক তারেক রহমান।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজবাড়ী শহরের ঐতিহাসিক আজাদী ময়দানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বিএনপি ঘোষিত রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু আরও বলেন,
শেখ হাসিনা দূরে বসে ষড়যন্ত্র করছে। পতিত সরকারের কোনো নেতা যদি নতুন দলে যোগ দেয়, বিএনপি তাদের ছাড় দেবে না। যারা স্বৈরাচার গোষ্ঠীকে রক্ষা করতে চায়, তাদের এদেশ থেকে বিদায় করা হবে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে, মানুষকে ভালোবাসতে হবে। বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের ওপর মানুষের বিশ্বাস যেন অটুট থাকে।
তিনি আরও বলেন, দেশে অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে সংস্কার করা সম্ভব নয়। তাই দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজবাড়ীর দুটি আসন ধানের শীষ প্রতীকের জন্য উপহার দিতে হবে।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. লিয়াকত আলী বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি অ্যাড. মো. আসলাম মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন-অর-রশীদ হারুন, বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুমিন, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নঈম আনসারী।জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম দুলাল, রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আহসান হাবিব, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. কেএ বারী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম মিয়া, পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ আলী খান প্রমূখ।
প্রধান বক্তা বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক, খালেদা জিয়ার সৈনিক, তারেক রহমানের হাতিয়ার। রাজবাড়ী বিএনপিতে কোনো বিভেদ নেই। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের দাম কমেনি, দুর্নীতি বন্ধ হয়নি, ধর্ষণ-ডাকাতি অব্যাহত রয়েছে। ইউনুস সাহেব কোনো সংস্কার করতে পারেননি। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এ দেশের জনগণ একবেলা ঠিকমতো খেতে পারে না, অথচ শেখ হাসিনার মন্ত্রী-এমপিরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। ক্ষমতার জন্য জিয়া পরিবার রাজনীতি করে না, তাই তারেক রহমান বলেছিলেন, ‘দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।’ বিএনপি ক্ষমতায় এলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু হবে।
বিশেষ অতিথি বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান বলেন, আমরা চাই ঐক্যবদ্ধ বিএনপি। আজকের সমাবেশে প্রমাণ হলো, রাজবাড়ী জেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানকে রাজবাড়ীর দুটি আসন উপহার দিতে হবে।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, রাজবাড়ী জেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে সমাবেশ করছে। ভবিষ্যতে রাজবাড়ীর দুটি আসনে যে মনোনয়ন পাবে, আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো। কোনো বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না।
তারা আরও বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে জিল্লুল হাকিম, কাজী কেরামত আলী ও কাজী ইরাদত আলী বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। এখন তারা নিজেরাই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
বক্তারা রাজবাড়ীর উন্নয়নের জন্য পদ্মা নদীতে ব্যারেজ নির্মাণ, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মা সেতুর দাবি এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
সমাবেশে বক্তারা তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আমরা চাই না। আমাদের লক্ষ্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক, মোঃ আকমল হোসেন ও রেজাউল করিম শিকদার পিন্টু।
এসময় জেলা, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।