ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে ক্ষমতায় আশা যাবে না-রাজবাড়ীতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৪:০৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫৮ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে আর কোন দিন ক্ষমতায় আশা যাবে না। বিএনপি যামাত যে স্বপ্ন দেখছে তা গুরে বালি। ক্ষমতায় আসতে হলে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের ভোটের অধিকারের মাধ্যমেই আসতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ্য ২১ বছর বিএনপি, জামাত, জাতীয় পার্টি রাজত্ব করেছে। ওই ২১ বছরে তারা স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। যে কারনে আমরা ভিক্ষুকের জাতী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলাম। কিন্তুু বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় আসার পর আমরা ভিক্ষকের জাতি থেকে মুক্তি পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবার ক্ষমতায় আসার পর দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে। যে সকল বড় বড় প্রকল্প চলমান আছে তা দেখে আজ বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আপনারা রাতে ঘুমানোর সময় বুকে হাত দিয়ে চিন্তা করবেন ১২ বছর আগে দেশের কি অবস্থা ছিলো এখন কি অবস্থায় আছি। আপনার বিবেক যদি জাগ্রত হয় তবে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে মানুষ আবার ভোট দিয়ে দেশের কাজ করার সুযোগ দিবে।
মঙ্গলবার রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ধর্মীয় সম্প্রতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বকতৃতায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি এসব কথা বলেন।
এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, রাজবাড়ী-২আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকীম এমপি, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার, পৌর মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, ভান্ডারিয়া দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল এরশাদ মো. শিরাজুম মুনির, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি প্রদীপ্ত চক্রবর্তী কান্ত, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট গনেশ নারায়ন চৌধুরীসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও শ্রেনী পেশার মানুষ বক্তৃতা করেন।
ধর্মীয় সম্প্রতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে জেলা সরকারী, বেসকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শুসীল সমাজ ও বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহন করেন।