সংবাদ শিরোনাম ::
জলবায়ু অর্থায়ন হতে হবে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চরফ্যাশন সরকারি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে মোহাম্মদ উল্যাহ স্বপনের নিয়োগ নোয়াখালীতে খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতা ছুরিকাঘাতে নিহত গোয়ালন্দের শফিক সহ বিএনপিপন্থী ৬৬ আইনজীবীকে মামলা থেকে অব্যাহতি ভোমরায় দেড় কোটি টাকার সোনার চকলেটসহ কিশোর আটক পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরতে নেমে জালে মিলল ১৪ কেজির পাঙ্গাশ মোংলা দিগরাজ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় কলেজের নবীন বরণ মিয়ানমার সীমান্তে ফের বিস্ফোরণ, সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ব্যাংক ম্যানেজারকে মারধর করে ভল্টের চাবি ছিনতাই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের; সাজ্জাদ জহির চন্দন
সংবাদ শিরোনাম ::
জলবায়ু অর্থায়ন হতে হবে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চরফ্যাশন সরকারি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে মোহাম্মদ উল্যাহ স্বপনের নিয়োগ নোয়াখালীতে খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতা ছুরিকাঘাতে নিহত গোয়ালন্দের শফিক সহ বিএনপিপন্থী ৬৬ আইনজীবীকে মামলা থেকে অব্যাহতি ভোমরায় দেড় কোটি টাকার সোনার চকলেটসহ কিশোর আটক পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরতে নেমে জালে মিলল ১৪ কেজির পাঙ্গাশ মোংলা দিগরাজ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় কলেজের নবীন বরণ মিয়ানমার সীমান্তে ফের বিস্ফোরণ, সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ব্যাংক ম্যানেজারকে মারধর করে ভল্টের চাবি ছিনতাই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের; সাজ্জাদ জহির চন্দন

বিশ্বের শাসকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে যা লিখেছিলেন মুহাম্মদ (সা.)

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরব উপদ্বীপের বাইরে পৃথিবীর প্রধান রাষ্ট্রের শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পাঠিয়েছিলেন। ওই সময় রাজশক্তিগুলো ছিল ইউরোপের রোম সাম্রাজ্য, এশিয়ার পারস্য সাম্রাজ্য এবং আফ্রিকার হাবসা সাম্রাজ্য

ষষ্ঠ হিজরিতে মিশরের শাসক আল-মুকাউকিসের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে চিঠি পাঠান মুহাম্মদ (সা.)। ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, যদি তিনি মুসলমান হন, তাহলে আল্লাহ তার পুরস্কার দ্বিগুণ করে দেবেন।

ওই চিঠিতে একটি সুরার উদ্ধৃতিও দিয়েছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আর তা হলো- ‘হে আহলে কিতাব, তোমরা এমন কথার দিকে আস, যেটি আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সমান যে, আমরা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারও ইবাদাত না করি। আর তার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক না করি এবং আমাদের কেউ কাউকে আল্লাহ ছাড়া রব হিসেবে গ্রহণ না করি। ’ তারপর যদি তারা বিমুখ হয় তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষী থাকো যে, নিশ্চয় আমরা মুসলিম’। (সুরা আল-ইমরান, আয়াত: ৬৪)
ষষ্ঠ হিজরিতে ইথিওপিয়ায় সম্রাট আশামা ইবনে আবজার, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হেরাক্লিয়াস, পারস্যের রাজা চসরো, বাহরাইনের শাসক মুনজির ইবনে সাওয়া, ইয়েমেনের রাজপুত্র হিমায়রিত হরিত ও হরিত গাসানিকে দূতের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। এ ছাড়া শামের গভর্নরকেও তিনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন।

রাজা ও রাজকুমারদের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.) মূলত ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন। চিঠিগুলোর সবই এই বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ করা হয়েছিল যে, ‘যদি আপনি মুখ ফিরিয়ে নেন, তবে আপনি আপনার অনুসারীদের পাপের বোঝা বহন করবেন। ’

ঐতিহাসিকরা বলছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চিঠি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন পারস্যের রাজা চসরো। ওই ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যে তিনি মারা যান। এরপর সেই সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। 

ওই চিঠির একটি অংশ তুরস্কের ইস্তাম্বুল মিউজিয়ামে রাখা আছে। আর মূল চিঠি আছে সৌদি আরবের মদিনা মিউজিয়ামে।

এ ছাড়া রোমের সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছে মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যে চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন, তা এখন জর্ডানের কিং হুসাইন মসজিদে সংরক্ষিত রয়েছে।

সূত্র: আল-আরাবিয়া ডটনেট

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিশ্বের শাসকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে যা লিখেছিলেন মুহাম্মদ (সা.)

আপডেট সময় : ০৬:২৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরব উপদ্বীপের বাইরে পৃথিবীর প্রধান রাষ্ট্রের শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পাঠিয়েছিলেন। ওই সময় রাজশক্তিগুলো ছিল ইউরোপের রোম সাম্রাজ্য, এশিয়ার পারস্য সাম্রাজ্য এবং আফ্রিকার হাবসা সাম্রাজ্য

ষষ্ঠ হিজরিতে মিশরের শাসক আল-মুকাউকিসের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে চিঠি পাঠান মুহাম্মদ (সা.)। ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, যদি তিনি মুসলমান হন, তাহলে আল্লাহ তার পুরস্কার দ্বিগুণ করে দেবেন।

ওই চিঠিতে একটি সুরার উদ্ধৃতিও দিয়েছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আর তা হলো- ‘হে আহলে কিতাব, তোমরা এমন কথার দিকে আস, যেটি আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সমান যে, আমরা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারও ইবাদাত না করি। আর তার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক না করি এবং আমাদের কেউ কাউকে আল্লাহ ছাড়া রব হিসেবে গ্রহণ না করি। ’ তারপর যদি তারা বিমুখ হয় তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষী থাকো যে, নিশ্চয় আমরা মুসলিম’। (সুরা আল-ইমরান, আয়াত: ৬৪)
ষষ্ঠ হিজরিতে ইথিওপিয়ায় সম্রাট আশামা ইবনে আবজার, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হেরাক্লিয়াস, পারস্যের রাজা চসরো, বাহরাইনের শাসক মুনজির ইবনে সাওয়া, ইয়েমেনের রাজপুত্র হিমায়রিত হরিত ও হরিত গাসানিকে দূতের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। এ ছাড়া শামের গভর্নরকেও তিনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন।

রাজা ও রাজকুমারদের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.) মূলত ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন। চিঠিগুলোর সবই এই বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ করা হয়েছিল যে, ‘যদি আপনি মুখ ফিরিয়ে নেন, তবে আপনি আপনার অনুসারীদের পাপের বোঝা বহন করবেন। ’

ঐতিহাসিকরা বলছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চিঠি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন পারস্যের রাজা চসরো। ওই ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যে তিনি মারা যান। এরপর সেই সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। 

ওই চিঠির একটি অংশ তুরস্কের ইস্তাম্বুল মিউজিয়ামে রাখা আছে। আর মূল চিঠি আছে সৌদি আরবের মদিনা মিউজিয়ামে।

এ ছাড়া রোমের সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছে মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যে চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন, তা এখন জর্ডানের কিং হুসাইন মসজিদে সংরক্ষিত রয়েছে।

সূত্র: আল-আরাবিয়া ডটনেট