সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ীতে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার দৌলতদিয়ায় হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার সেবা মান উন্নয়নে বিআরটিএ’র গণশুনানি পিরোজপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিঠা-পুলির উৎসব ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে যুবক নিহত অস্ত্র ককটেল ও অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামাদীসহ দুইজন কোস্ট গার্ডের হাতে আটক সালথার সাংবাদিকের বাসার গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরি কালুখালীতে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও সনদ বিতরণ রাজবাড়ীতে দুই প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ীতে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার দৌলতদিয়ায় হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার সেবা মান উন্নয়নে বিআরটিএ’র গণশুনানি পিরোজপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিঠা-পুলির উৎসব ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে যুবক নিহত অস্ত্র ককটেল ও অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামাদীসহ দুইজন কোস্ট গার্ডের হাতে আটক সালথার সাংবাদিকের বাসার গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরি কালুখালীতে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও সনদ বিতরণ রাজবাড়ীতে দুই প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি

চরাঞ্চলে নতুন জাতের ধান আবাদ

জেলা প্রতিনিধি, ভোলাঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

ভোলার চরাঞ্চলে প্রথমবারের মতো উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান ব্রি ধান-১০৩ আবাদ করেছেন চাষীরা। অন্যান্য জাতের তুলনায় এ ধান আগেই ঘরে তোলা সম্ভব হয়। লালমোহন উপজেলায় কৃষি অফিসের উদ্যোগে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করে এ ধানের চাষ শুরু করা হয়েছে।

লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চরছকিনা এবং পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের কলেজ পাড়া এলাকার মোট ছয়জন কৃষক ৪০০ শতাংশ জমিতে ব্রি ধান-১০৩ আবাদ করেছেন।

কালমা ইউনিয়নের কৃষকরা আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু করবেন। পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের কৃষকরা দেরিতে চাষ করায় ২০-২৫ দিনের মধ্যে ধান কাটবেন। এ ধানের বীজ বাজারে পাইকারি প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা এবং খুচরা ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হবে।

চরছকিনা এলাকার চাষী মো. বাবুল, মো. সেলিম এবং শেখ সাদি বলেন, “২০০ শতাংশ জমিতে ধান চাষে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে সব ঠিক থাকলে আমরা দেড় লাখ টাকার বীজ বিক্রি করতে পারবো। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ, সার এবং কীটনাশক পাওয়া আমাদের জন্য বড় সহায়তা হয়েছে।”

কলেজ পাড়া এলাকার চাষী মো. নান্নু, মোস্তফা কামাল এবং কাকলি রাণী জানান, “আমাদের ক্ষেতের ধান কাটতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। আমরা দেড় লাখ টাকার ধানের বীজ বিক্রির আশা করছি।”

লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবু হাসনাইন বলেন, “দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আবাদ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এ বছর আমরা ব্রি ধান-১০৩ চাষে কৃষকদের সফলতা দেখতে পেয়েছি। আগামীতে এ ধানের আবাদ আরো বাড়ানো হবে।”

তিনি আরো বলেন, “কৃষকদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত কৃষকদের খোঁজ নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।”

লালমোহন উপজেলায় ব্রি ধান-১০৩ আবাদে কৃষকদের অভিজ্ঞতা এবং সাফল্যের ফলে আগামীতে এ জাতের ধান চাষ আরো ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চরাঞ্চলে নতুন জাতের ধান আবাদ

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ভোলার চরাঞ্চলে প্রথমবারের মতো উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান ব্রি ধান-১০৩ আবাদ করেছেন চাষীরা। অন্যান্য জাতের তুলনায় এ ধান আগেই ঘরে তোলা সম্ভব হয়। লালমোহন উপজেলায় কৃষি অফিসের উদ্যোগে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করে এ ধানের চাষ শুরু করা হয়েছে।

লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চরছকিনা এবং পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের কলেজ পাড়া এলাকার মোট ছয়জন কৃষক ৪০০ শতাংশ জমিতে ব্রি ধান-১০৩ আবাদ করেছেন।

কালমা ইউনিয়নের কৃষকরা আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু করবেন। পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের কৃষকরা দেরিতে চাষ করায় ২০-২৫ দিনের মধ্যে ধান কাটবেন। এ ধানের বীজ বাজারে পাইকারি প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা এবং খুচরা ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হবে।

চরছকিনা এলাকার চাষী মো. বাবুল, মো. সেলিম এবং শেখ সাদি বলেন, “২০০ শতাংশ জমিতে ধান চাষে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে সব ঠিক থাকলে আমরা দেড় লাখ টাকার বীজ বিক্রি করতে পারবো। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ, সার এবং কীটনাশক পাওয়া আমাদের জন্য বড় সহায়তা হয়েছে।”

কলেজ পাড়া এলাকার চাষী মো. নান্নু, মোস্তফা কামাল এবং কাকলি রাণী জানান, “আমাদের ক্ষেতের ধান কাটতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। আমরা দেড় লাখ টাকার ধানের বীজ বিক্রির আশা করছি।”

লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবু হাসনাইন বলেন, “দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আবাদ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এ বছর আমরা ব্রি ধান-১০৩ চাষে কৃষকদের সফলতা দেখতে পেয়েছি। আগামীতে এ ধানের আবাদ আরো বাড়ানো হবে।”

তিনি আরো বলেন, “কৃষকদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত কৃষকদের খোঁজ নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।”

লালমোহন উপজেলায় ব্রি ধান-১০৩ আবাদে কৃষকদের অভিজ্ঞতা এবং সাফল্যের ফলে আগামীতে এ জাতের ধান চাষ আরো ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।