10:43 pm, Tuesday, 18 March 2025

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে

  • Reporter Name
  • Update Time : 12:35:18 am, Friday, 17 September 2021
  • 148 Time View

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ দণ্ড স্থগিতের সময় শেষ হবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই আমাদের কাছে একটি আবেদন নিয়ে এসেছিলেন। আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। আইন মন্ত্রণালয় যে অভিমত দিয়েছে, সে অনুযায়ী প্রক্রিয়া চলছে। প্রক্রিয়া কোন পর্যন্ত, আমি না জেনে বলতে পারব না। আমি বিদেশে ছিলাম। আমি গতকাল (বুধবার) দেশে ফিরেছি।

প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিদেশে যাবেন। সেক্ষেত্রে আজকের দিনটিই আছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা অপেক্ষা করুন। ইয়েস, নো, কোনোটাই তো আমরা বলতে পারব না। এটা প্রক্রিয়ায় আছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

কারান্তরীণ অবস্থায়ই চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়। এভাবে কয়েক দফায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এবং হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়।

এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জোর দাবি তোলেন। পরিবারের পক্ষ থেকেও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। সেই প্রেক্ষাপটে সরকারের নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ দুই বছর পর গত বছরের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়।

এরপর থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ আছেন খালেদা জিয়া।  তার নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা রয়েছে। এরমধ্যে গত এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন তিনি। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর তার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে

Update Time : 12:35:18 am, Friday, 17 September 2021

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ দণ্ড স্থগিতের সময় শেষ হবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই আমাদের কাছে একটি আবেদন নিয়ে এসেছিলেন। আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। আইন মন্ত্রণালয় যে অভিমত দিয়েছে, সে অনুযায়ী প্রক্রিয়া চলছে। প্রক্রিয়া কোন পর্যন্ত, আমি না জেনে বলতে পারব না। আমি বিদেশে ছিলাম। আমি গতকাল (বুধবার) দেশে ফিরেছি।

প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিদেশে যাবেন। সেক্ষেত্রে আজকের দিনটিই আছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা অপেক্ষা করুন। ইয়েস, নো, কোনোটাই তো আমরা বলতে পারব না। এটা প্রক্রিয়ায় আছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

কারান্তরীণ অবস্থায়ই চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়। এভাবে কয়েক দফায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এবং হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়।

এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জোর দাবি তোলেন। পরিবারের পক্ষ থেকেও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। সেই প্রেক্ষাপটে সরকারের নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ দুই বছর পর গত বছরের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়।

এরপর থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ আছেন খালেদা জিয়া।  তার নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা রয়েছে। এরমধ্যে গত এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন তিনি। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর তার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।