11:25 pm, Tuesday, 18 March 2025

পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামকে ছাড়াল বাংলাদেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : 01:14:09 am, Friday, 17 September 2021
  • 191 Time View

চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) বৈশ্বিক তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। গত বছর বাংলাদেশকে টপকে গিয়েছিল ভিয়েতনাম। তবে চলতি বছরের প্রথমার্ধে আবার এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সাত মাসে ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশ ১৯৩ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি বেশি করেছে বলে দাবি করেছে তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে ১ হাজার ৮৭৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আর একই সময়ে ১ হাজার ৬৮৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে ভিয়েতনাম। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানি ৭ শতাংশ কমেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে ভিয়েতনামের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তা ছাড়া ভিয়েতনাম সরকার পোশাকের সঙ্গে বস্ত্র খাতের রপ্তানি একত্রে প্রকাশ করে। ফলে আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, বাংলাদেশ চলতি বছর আবার পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ

অবস্থান ফিরে পাবে। গত জুলাইয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিকস রিভিউ ২০২১ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে দেখা যায়, ২০২০ সালে ভিয়েতনাম ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক। অথচ তার আগের বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তখন ভিয়েতনামের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার। রপ্তানির পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে হিস্যাও কমেছে বাংলাদেশের। ২০১৯ সালে বিশ্বে যত পোশাক রপ্তানি হয়, তার মধ্যে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল বাংলাদেশি। গত বছর সেটি কমে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা গত বছর ৬ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। তখন ভিয়েতনামের ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। ১০ বছরের ব্যবধানে সেই ভিয়েতনামই গত বছর বাংলাদেশকে টপকে গেছে।

ডব্লিউটিওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীন সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। তার আগের বছরের চেয়ে দেশটির পোশাক রপ্তানি ৭ শতাংশ কমেছে। তারপর চীন বিশ্বের মোট পোশাক রপ্তানি ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ দখলে রেখেছে। একক দেশ হিসাবে ভিয়েতনাম দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো সম্মিলিতভাবে এই জায়গা বহুদিন ধরেই দখল করে আছে। গত বছর ইইউর দেশগুলো নিজেদের অঞ্চলে ১২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর ইইউর বাইরে তাদের রপ্তানির পরিমাণ ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামকে ছাড়াল বাংলাদেশ

Update Time : 01:14:09 am, Friday, 17 September 2021

চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) বৈশ্বিক তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। গত বছর বাংলাদেশকে টপকে গিয়েছিল ভিয়েতনাম। তবে চলতি বছরের প্রথমার্ধে আবার এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সাত মাসে ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশ ১৯৩ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি বেশি করেছে বলে দাবি করেছে তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে ১ হাজার ৮৭৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আর একই সময়ে ১ হাজার ৬৮৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে ভিয়েতনাম। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানি ৭ শতাংশ কমেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে ভিয়েতনামের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তা ছাড়া ভিয়েতনাম সরকার পোশাকের সঙ্গে বস্ত্র খাতের রপ্তানি একত্রে প্রকাশ করে। ফলে আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, বাংলাদেশ চলতি বছর আবার পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ

অবস্থান ফিরে পাবে। গত জুলাইয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিকস রিভিউ ২০২১ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে দেখা যায়, ২০২০ সালে ভিয়েতনাম ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক। অথচ তার আগের বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তখন ভিয়েতনামের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার। রপ্তানির পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে হিস্যাও কমেছে বাংলাদেশের। ২০১৯ সালে বিশ্বে যত পোশাক রপ্তানি হয়, তার মধ্যে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল বাংলাদেশি। গত বছর সেটি কমে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা গত বছর ৬ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। তখন ভিয়েতনামের ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। ১০ বছরের ব্যবধানে সেই ভিয়েতনামই গত বছর বাংলাদেশকে টপকে গেছে।

ডব্লিউটিওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীন সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। তার আগের বছরের চেয়ে দেশটির পোশাক রপ্তানি ৭ শতাংশ কমেছে। তারপর চীন বিশ্বের মোট পোশাক রপ্তানি ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ দখলে রেখেছে। একক দেশ হিসাবে ভিয়েতনাম দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো সম্মিলিতভাবে এই জায়গা বহুদিন ধরেই দখল করে আছে। গত বছর ইইউর দেশগুলো নিজেদের অঞ্চলে ১২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর ইইউর বাইরে তাদের রপ্তানির পরিমাণ ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।