11:45 pm, Thursday, 20 March 2025

ডিপফেক : উদ্বেগ বাড়ছে গোপন অ্যাপে

  • Reporter Name
  • Update Time : 12:06:08 am, Thursday, 23 September 2021
  • 250 Time View

একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে মাত্র দুটি ক্লিক করেই খুব সহজে যে কাউকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে, মাত্র দুটি ক্লিকের মাধ্যমে পর্নো তারকার দেহে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য একজনের মুখ। কাজটির আগেই অবশ্য ইংরেজিতে সতর্ক বার্তা দেওয়া হচ্ছে। যার বাংলা দাঁড়ায়- ‘প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি ভিডিওতে নিজের ইচ্ছামতো মুখ জুড়ে দিন। যে কোনো ব্যক্তিকে বানিয়ে দিন পর্নো তারকা। আমাদের শুধু দুটি জিনিস লাগবে। একটি ছবি আর একটি ক্লিক।’

ভিডিওতে মুখ পাল্টে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে নতুন এ অ্যাপ নিয়ে চিন্তা আর উদ্বেগের কারণ রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় তেমন কোনো জটিলতা নেই। খুব সহজেই কাজটি করে ফেলা যায়। আগে একমাত্র পেশাদাররাই এ কাজ করতে পারতেন। কিন্তু এ অ্যাপের মাধ্যমে একটি ছবি দিয়েই যদি তা খুব সহজে করে ফেলা যায়, তবে ব্যাপক অপব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে অ্যাপটি। যে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে তাকে বলা হয়- ডিপফেক টেকনোলজি। অ্যাপটির খোঁজ প্রথম পান হেনরি আজাদ নামের এক ব্যক্তি।

হেনরি একজন গবেষক। তার গবেষণার বিষয়ই হলো এ ধরনের ডিপফেক প্রযুক্তিতে তৈরি ওয়েবসাইট। তবে হেনরি ওয়েবসাইটটির ব্যাপারে সতর্ক করলেও নিরাপত্তার কারণেই সেটির নাম প্রকাশ করেননি। এমনকি ওয়েবসাইটের কোনো স্ক্রিনশটও শেয়ার করেননি তিনি।

হেনরি জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ইন্টারনেট দুনিয়ায় এ অ্যাপ প্রকাশ্যে আসেনি। প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে হাতেগোনা কয়েকজন ব্যবহারকারীর কথাবার্তা হয়েছে মাত্র। তারা অ্যাপটির ব্যবহারসংক্রান্ত বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেছেন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে। তবে গবেষকদের ভয়, যদি এ অ্যাপ একবার প্রকাশ্যে আসে, তাহলে তা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সীমা লঙ্ঘন করবে। আর এমনভাবে সেই সীমা অতিক্রম করবে, যা আগে কখনো হয়নি।

এর আগে সারা বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এক লাখেরও বেশি নারীর ছবি সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে ভুয়া নগ্ন ছবি তৈরি করা হচ্ছে এবং অনলাইনে তা শেয়ার করা হচ্ছে বলে এক রিপোর্টে বেরিয়েছিল।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে এসব ছবি থেকে নারী দেহের পোশাক সরিয়ে ফেলা হচ্ছে এবং মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে এসব নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় সে সময়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

ডিপফেক : উদ্বেগ বাড়ছে গোপন অ্যাপে

Update Time : 12:06:08 am, Thursday, 23 September 2021

একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে মাত্র দুটি ক্লিক করেই খুব সহজে যে কাউকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে, মাত্র দুটি ক্লিকের মাধ্যমে পর্নো তারকার দেহে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য একজনের মুখ। কাজটির আগেই অবশ্য ইংরেজিতে সতর্ক বার্তা দেওয়া হচ্ছে। যার বাংলা দাঁড়ায়- ‘প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি ভিডিওতে নিজের ইচ্ছামতো মুখ জুড়ে দিন। যে কোনো ব্যক্তিকে বানিয়ে দিন পর্নো তারকা। আমাদের শুধু দুটি জিনিস লাগবে। একটি ছবি আর একটি ক্লিক।’

ভিডিওতে মুখ পাল্টে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে নতুন এ অ্যাপ নিয়ে চিন্তা আর উদ্বেগের কারণ রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় তেমন কোনো জটিলতা নেই। খুব সহজেই কাজটি করে ফেলা যায়। আগে একমাত্র পেশাদাররাই এ কাজ করতে পারতেন। কিন্তু এ অ্যাপের মাধ্যমে একটি ছবি দিয়েই যদি তা খুব সহজে করে ফেলা যায়, তবে ব্যাপক অপব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে অ্যাপটি। যে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে তাকে বলা হয়- ডিপফেক টেকনোলজি। অ্যাপটির খোঁজ প্রথম পান হেনরি আজাদ নামের এক ব্যক্তি।

হেনরি একজন গবেষক। তার গবেষণার বিষয়ই হলো এ ধরনের ডিপফেক প্রযুক্তিতে তৈরি ওয়েবসাইট। তবে হেনরি ওয়েবসাইটটির ব্যাপারে সতর্ক করলেও নিরাপত্তার কারণেই সেটির নাম প্রকাশ করেননি। এমনকি ওয়েবসাইটের কোনো স্ক্রিনশটও শেয়ার করেননি তিনি।

হেনরি জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ইন্টারনেট দুনিয়ায় এ অ্যাপ প্রকাশ্যে আসেনি। প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে হাতেগোনা কয়েকজন ব্যবহারকারীর কথাবার্তা হয়েছে মাত্র। তারা অ্যাপটির ব্যবহারসংক্রান্ত বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেছেন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে। তবে গবেষকদের ভয়, যদি এ অ্যাপ একবার প্রকাশ্যে আসে, তাহলে তা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সীমা লঙ্ঘন করবে। আর এমনভাবে সেই সীমা অতিক্রম করবে, যা আগে কখনো হয়নি।

এর আগে সারা বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এক লাখেরও বেশি নারীর ছবি সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে ভুয়া নগ্ন ছবি তৈরি করা হচ্ছে এবং অনলাইনে তা শেয়ার করা হচ্ছে বলে এক রিপোর্টে বেরিয়েছিল।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে এসব ছবি থেকে নারী দেহের পোশাক সরিয়ে ফেলা হচ্ছে এবং মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে এসব নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় সে সময়।