Update Time :
06:46:15 pm, Monday, 14 February 2022
157
Time View
বন-বিনাশী অপরাধমূলক কর্মকান্ডের দায়ে সুন্দরবনের কাছে গণক্ষমা প্রার্থনা
বন-বিনাশী অপরাধমূলক কর্মকান্ডের দায়ে মায়ের মতো বিশ্ব ঐতিহ্য’র অংশ সুন্দরবনের কাছে গণক্ষমা প্রার্থনা কর্মসুচি পালিত হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার,বাদাবন সংঘ এবং ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের আয়োজনে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।
বন-বিনাশী অপরাধমূলক কর্মকান্ডের দায়ে সুন্দরবনের কাছে গণক্ষমা প্রার্থনা
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, জলবায়ু সংকট সৃষ্টি, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, পশুর নদীতে কয়লা-তেল ভর্তি জাহাজডুবি, জাহাজী বর্জ্য-শিল্প ও প্লাস্টিক দূষণ, বাঘ-হরিণ-পাখিসহ বন্যপ্রাণী হত্যা, বিষ দিয়ে মাছ নিধন, ডলফিন হত্যা, বৃক্ষ নিধনসহ মানুষ সৃষ্ট বন-বিনাশী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে জেলে-বাওয়ালী-মৌয়ালী এবং বনজীবিদের অংশগ্রহণে সুন্দরবনের কাছে গণক্ষমা প্রার্থনা চেয়ে এই কর্মসুচি পালন করা হয়।
সকাল ১১টায় গণক্ষমা প্রার্থনা কর্মসুচি পালনকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ। এসময় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন বাদাবন সংঘের মোংলা এরিয়া ম্যানেজার অজিফা খাতুন, বাপা নেতা পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার ইস্রাফিল বয়াতি, বাপা নেতা নদীকর্মী হাসিব সরদার, ডলফিন সংরক্ষণ দলের ষ্টিফেন হালদার, শেখর রায়, বাপা নেত্রী মীরা বিশ্বাস, তরুন মন্ডল প্রমূখ।
গণক্ষমা প্রার্থনা সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাপা নেতা মো. নূর আলম শেখ বলেন মানুষের বন-বিনাশী কর্মকান্ডের ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র হুমকিতে পড়েছে। মহাপ্রাণ সুন্দরবনকে বাঁচাতে এবং টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে বন-বিনাশী কর্মকান্ড থেকে মানুষ ও সরকারকে সরে আসতে হবে। সুন্দরবন বিনাশী সকল প্রকল্প’র কার্যক্রম বন্ধ করে সরকারকে পরিবেশ ও জনবান্ধব টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন সুন্দরবন মায়ের মতো আমাদের বিপদ-আপদে আগলে রাখে। অথচ আমরাই আবার মায়ের মতো সুন্দরবনের উপর অত্যাচার চালাচ্ছি। তাই সুন্দরবনের কাছে ক্ষমা চাইতে এই কর্মসুচি পালন করছি। গণক্ষমা প্রার্থনা কর্মসুচিতে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ করো, সুন্দরবনের বাঘ-হরিণ হত্যা বন্ধ করো, পরিকল্পিত অগ্নিকান্ড বন্ধ করো, বিষ দিয়ে মৎস্য নিধন বন্ধ করোসহ লিখিত বিভিন্ন ফেস্টুন-প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বনজীবিরা অংশগ্রহণ করেন।
বন-বিনাশী অপরাধমূলক কর্মকান্ডের দায়ে সুন্দরবনের কাছে গণক্ষমা প্রার্থনা
Update Time :
06:46:15 pm, Monday, 14 February 2022
বন-বিনাশী অপরাধমূলক কর্মকান্ডের দায়ে মায়ের মতো বিশ্ব ঐতিহ্য’র অংশ সুন্দরবনের কাছে গণক্ষমা প্রার্থনা কর্মসুচি পালিত হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার,বাদাবন সংঘ এবং ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের আয়োজনে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।
বন-বিনাশী অপরাধমূলক কর্মকান্ডের দায়ে সুন্দরবনের কাছে গণক্ষমা প্রার্থনা
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, জলবায়ু সংকট সৃষ্টি, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, পশুর নদীতে কয়লা-তেল ভর্তি জাহাজডুবি, জাহাজী বর্জ্য-শিল্প ও প্লাস্টিক দূষণ, বাঘ-হরিণ-পাখিসহ বন্যপ্রাণী হত্যা, বিষ দিয়ে মাছ নিধন, ডলফিন হত্যা, বৃক্ষ নিধনসহ মানুষ সৃষ্ট বন-বিনাশী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে জেলে-বাওয়ালী-মৌয়ালী এবং বনজীবিদের অংশগ্রহণে সুন্দরবনের কাছে গণক্ষমা প্রার্থনা চেয়ে এই কর্মসুচি পালন করা হয়।
সকাল ১১টায় গণক্ষমা প্রার্থনা কর্মসুচি পালনকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ। এসময় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন বাদাবন সংঘের মোংলা এরিয়া ম্যানেজার অজিফা খাতুন, বাপা নেতা পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার ইস্রাফিল বয়াতি, বাপা নেতা নদীকর্মী হাসিব সরদার, ডলফিন সংরক্ষণ দলের ষ্টিফেন হালদার, শেখর রায়, বাপা নেত্রী মীরা বিশ্বাস, তরুন মন্ডল প্রমূখ।
গণক্ষমা প্রার্থনা সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাপা নেতা মো. নূর আলম শেখ বলেন মানুষের বন-বিনাশী কর্মকান্ডের ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র হুমকিতে পড়েছে। মহাপ্রাণ সুন্দরবনকে বাঁচাতে এবং টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে বন-বিনাশী কর্মকান্ড থেকে মানুষ ও সরকারকে সরে আসতে হবে। সুন্দরবন বিনাশী সকল প্রকল্প’র কার্যক্রম বন্ধ করে সরকারকে পরিবেশ ও জনবান্ধব টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন সুন্দরবন মায়ের মতো আমাদের বিপদ-আপদে আগলে রাখে। অথচ আমরাই আবার মায়ের মতো সুন্দরবনের উপর অত্যাচার চালাচ্ছি। তাই সুন্দরবনের কাছে ক্ষমা চাইতে এই কর্মসুচি পালন করছি। গণক্ষমা প্রার্থনা কর্মসুচিতে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ করো, সুন্দরবনের বাঘ-হরিণ হত্যা বন্ধ করো, পরিকল্পিত অগ্নিকান্ড বন্ধ করো, বিষ দিয়ে মৎস্য নিধন বন্ধ করোসহ লিখিত বিভিন্ন ফেস্টুন-প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বনজীবিরা অংশগ্রহণ করেন।