ক্ষতিগ্রস্ত চার হাজার পেঁয়াজ চাষীর পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা

জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
  • আপডেট সময় : ০২:১৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

রাজবাড়ীতে প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ অংকুরোদগম না হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪,০০০ প্রান্তিক কৃষকের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে নতুন বীজ বিতরণ করে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছেন।

প্রণোদনার আওতায় সরকার বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছিল পেঁয়াজ বীজ। তবে বীজ অংকুরোদগমে ব্যর্থ হওয়ায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কিন্তু জেলা প্রশাসকের তড়িৎ পদক্ষেপে কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের নতুন বীজ সরবরাহ করা হয়।

জেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেলার ৩,৭২৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিএডিসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দ্রুত সমাধানের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাজার থেকে লালতীর কোম্পানির উন্নতমানের তাহেরপুরী বীজ সংগ্রহ করা হয়। ৩ ডিসেম্বর একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং কৃষি সচিবের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করে তিনি দ্রুত নতুন বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করেন।

রবিবার রাজবাড়ী সদর উপজেলার একটি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে নতুন বীজ বিতরণ করেন।

মিজানপুর ইউনিয়নের কৃষক জাকির হোসেন জানান, প্রণোদনার বীজ না গজানোর কারণে তাদের অনেক ক্ষতির শঙ্কা ছিল। তবে নতুন বীজ পেয়ে তারা চাষের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।

পাংশা উপজেলার কৃষক সমশের শেখ বলেন, “জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমন কৃষকবান্ধব প্রশাসক পেয়ে আমরা গর্বিত।”

জেলা প্রশাসক জানান, “আমরা দ্রুত বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করেছি যাতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন। ক্ষতিগ্রস্ত ৩,৭২৫ জন কৃষকের মাঝে পুনরায় উন্নতমানের বীজ বিতরণ করা হচ্ছে।” রবিবার রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ২০০ জন, কালুখালীতে ৩০০ জন এবং পাংশা উপজেলায় ৫০০ জন কৃষকের মাঝে নতুন বীজ বিতরণ করা হয়। বাকি বীজ এ সপ্তাহের মধ্যেই বিতরণ করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. মোঃ শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক, এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

জেলা প্রশাসকের এই উদ্যোগ কৃষকদের দুশ্চিন্তা দূর করেছে এবং তাদের চাষাবাদের প্রতি নতুন আশার সঞ্চার করেছে। এ পদক্ষেপ রাজবাড়ী জেলায় পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক হবে বলে আশা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ক্ষতিগ্রস্ত চার হাজার পেঁয়াজ চাষীর পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা

আপডেট সময় : ০২:১৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজবাড়ীতে প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ অংকুরোদগম না হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪,০০০ প্রান্তিক কৃষকের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে নতুন বীজ বিতরণ করে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছেন।

প্রণোদনার আওতায় সরকার বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছিল পেঁয়াজ বীজ। তবে বীজ অংকুরোদগমে ব্যর্থ হওয়ায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কিন্তু জেলা প্রশাসকের তড়িৎ পদক্ষেপে কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের নতুন বীজ সরবরাহ করা হয়।

জেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেলার ৩,৭২৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিএডিসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দ্রুত সমাধানের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাজার থেকে লালতীর কোম্পানির উন্নতমানের তাহেরপুরী বীজ সংগ্রহ করা হয়। ৩ ডিসেম্বর একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং কৃষি সচিবের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করে তিনি দ্রুত নতুন বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করেন।

রবিবার রাজবাড়ী সদর উপজেলার একটি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে নতুন বীজ বিতরণ করেন।

মিজানপুর ইউনিয়নের কৃষক জাকির হোসেন জানান, প্রণোদনার বীজ না গজানোর কারণে তাদের অনেক ক্ষতির শঙ্কা ছিল। তবে নতুন বীজ পেয়ে তারা চাষের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।

পাংশা উপজেলার কৃষক সমশের শেখ বলেন, “জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমন কৃষকবান্ধব প্রশাসক পেয়ে আমরা গর্বিত।”

জেলা প্রশাসক জানান, “আমরা দ্রুত বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করেছি যাতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন। ক্ষতিগ্রস্ত ৩,৭২৫ জন কৃষকের মাঝে পুনরায় উন্নতমানের বীজ বিতরণ করা হচ্ছে।” রবিবার রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ২০০ জন, কালুখালীতে ৩০০ জন এবং পাংশা উপজেলায় ৫০০ জন কৃষকের মাঝে নতুন বীজ বিতরণ করা হয়। বাকি বীজ এ সপ্তাহের মধ্যেই বিতরণ করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. মোঃ শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক, এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

জেলা প্রশাসকের এই উদ্যোগ কৃষকদের দুশ্চিন্তা দূর করেছে এবং তাদের চাষাবাদের প্রতি নতুন আশার সঞ্চার করেছে। এ পদক্ষেপ রাজবাড়ী জেলায় পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক হবে বলে আশা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।