পিঠায় খুশি শালিখার রাশিদা-নূর দম্পতি
- আপডেট সময় : ১২:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৮ বার পড়া হয়েছে
শীত মৌসুম এলেই ভাপা পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করেন রাশিদা ও তার স্বামী নূর মিয়া। সারাবছর মাটি কাটা ও পরের ক্ষেতে কাজ করে দিনাতিপাত করলেও শীত মৌসুম আসলেই ভাপা ও চিতই পিঠা তৈরি ও বিক্রি করতে ব্যস্ত থাকেন এই দম্পতি।
বিকালে হলেই আটাও পানি দিয়ে গলা তৈরি করে কাজ শুরু করেন তারা মধ্যরাত অবধি চলে পিঠা তৈরি ও বিক্রির কাজ। গরম পিঠা খেতে উপজেলা সদর আড়পাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ভিড় করেন তাদের দোকানে।
বলছিলাম শালিখা উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর গ্রামের নুর মিয়া ও তার স্ত্রী রাশিদা খাতুনের কথা। পাঁচ সন্তানসহ সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে বছরের নানা সময়ে নানা কাজ করে জীবন যুদ্ধ চালিয়ে গেলেও শীত মৌসুম শুরু হলেই পিঠা তৈরি করে পরিবারের ভরণ পোষণ ও সন্তানদের লেখা-পড়ার টাকা আয় করতে মত্ত থাকেন তারা।
উপজেলা সদর আড়পাড়া বাজারের হাই স্কুল গেটের বাম পাশে মাটির চুলা তৈরি করে চার পাশে শাড়ি কাপড় দিয়ে ঘিরে গুড়-পাটালি মিশ্রিত ভাপা পিঠা ও বিভিন্ন শাকসবজি দিয়ে পিঠালী তৈরি করে চিতই পিঠা বিক্রি করেন তারা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কেউ কিনছেন ভাপা পিঠা কেউ কিনছেন চিতই। সাথে শাকসবজি দিয়ে তৈরি পিঠালী দিয়ে মজা করে পাশেই বসে খাচ্ছেন কিশোর-কিশোরীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। যেখানে প্রতিটি পিঠা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা। স্বল্প মূল্যে মজার পিঠা পাওয়াই দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন লোক পিঠা খেতে আসছেন এখানে। একসাথে খাচ্ছেন ৪-৫ টা পিঠা। অনেকে আবার প্যাকেটজাত করে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের জন্য।
পিঠা খেতে আসা জসীমউদ্দীন নামে এক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, স্বল্প মূল্যে এখানে ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠা পাওয়া যায় সাথে শাকসবজি মিশ্রিত পিঠালি পাওয়া যায় যা খেতে অনেকটা মজা লাগে তাই প্রতি দিন সন্ধ্যা হলে এখানে আসি এবং পিঠা খায়।
লেকচার প্রকাশনীর শালিখা উপজেলায় নিয়োজিত প্রতিনিধি শুভ বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সারাদিন বিভিন্ন স্কুল ভিজিট করে সন্ধ্যা হলে এখানে আসি এবং নিয়মিত কয়েকটা কয়েকটা খায় অনেক ভালো লাগে।
পিঠা বিক্রেতা নুর মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রতিবছরই আমি এখানে বসে পিঠা তৈরি এবং বিক্রি করি। আর জায়গাটা শহরকেন্দ্রিক হওয়ায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন অফিস আদালতের লোকজন এখানে পিঠা খেতে আসে। প্রতিদিন আমি ২শ থেকে ৩শ পিচ পিঠা বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে পরিবারের ভরণ পোষণ যোগানোর পাশাপাশি মনিদের লেখা পড়া খরচ যোগায়।