রাজবাড়ীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০১:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজবাড়ী পৌরসভার রজনীগন্ধা অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সভাপতি মুফতি শামসুল হুদার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনটি পরিচালিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মুহাঃ আব্দুর রহিম আল মাহমুদ সুমন, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সহ-সভাপতি মুফতি গোলাম কবির মাসুম, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মাদ সাব্বির হুসাইন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুহাঃ আবু রায়হান গিফারী, সাধারণ সম্পাদক মুহাঃ আব্দুল আলিম, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওঃ রফিকুল ইসলাম মিলন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মাওঃ মুস্তাফিজুর রহমান সেলিম,
সম্মেলনের শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংগ্রামী মহাসচিব রাজবাড়ী জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করেন, এতে সভাপতি: মুফতি শামসুল হুদা, সহ-সভাপতি: মুফতি গোলাম কবির মাসুম, সেক্রেটারি: মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি: হাফেজ সাব্বির হোসাইন এর নাম ঘোষণা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাসচিব ইউনুস আহমাদ বলেন, “জুলাই বিপ্লবের পর দেশে যেন আর কোনো কালো অধ্যায় তৈরি না হয়, সেজন্য কার্যকর সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। জনগণ দলীয় পরিচয়ে নয়, বরং নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার নিয়ে বাঁচতে চায়। দেশে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অপরাধ বাড়ছে, অপরাধীরা গ্রেপ্তার হলেও আবার বের হয়ে আসছে। পুলিশের কার্যক্রম এখনো ধীরগতি সম্পন্ন, যা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
বিশেষ অতিথি মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী বলেন, “দলীয় সরকারের অধীনে কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়। জনগণের ভোটের যথাযথ মূল্যায়নের জন্য পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির নির্বাচন প্রয়োজন। এতে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট ও টেন্ডারবাজি বন্ধ হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে দেশ সমৃদ্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, “আগামীতে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন বাস্তবায়নের জন্য জনগণ প্রয়োজনে রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
সম্মেলনে বক্তারা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে মতামত দেন এবং ইসলামী আন্দোলনকে আরও সুসংগঠিত করার ঘোষণা দেন।