স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, সরকারের ১১টি গাইড লাইন মেনে চললে আমাদের লকডাউনের প্রয়োজন হবেনা। লকডাউন দেয়া মানে দেশের ক্ষতি অর্থনীতির মারাত্বক ক্ষতি ও মানুষের ক্ষতি।আমাদের নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, দেশের জন্য স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে।

শনিবার সকালে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সিটি স্ক্যান মেশিন ও ডায়ালাইসিস ইউনিট উদ্বোধন অনুষ্টানে এই কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও করোনা দ্রুত সক্রামিত হচ্ছে। গতকালকে হিসাবে একদিনে ৪৪০০জন সক্রামিত হয়েছে। এহিসাবে সক্রামনের হার প্রায ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।প্রতিদিন ৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায আমাদের সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। সবাইকে টিকা নিতে হবে। তিনি বলেন আমাদের টিকার কোন ঘাটতি নেই। ইতিমধ্যে সোয়া চৌদ্দ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা পেয়েছে।

মন্ত্রী আারও বলেন, প্রতিটি জেলা হাসপাতালে সিটি স্ক্যান মেশিন ও দশ বেডের ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপন করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক আহমেদুল কবির, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, কর্ণেল মালেক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডা.আরশ্বাদ উল্লা, সিভিল সার্জন মোজাজ্জেম হোসেন খান,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম,পৌর মেয়র মো. রমজান আলী, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. কাজী একেএম রাসেল প্রমুখ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, যে হারে করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা ভালো লক্ষন না।টিকা করোনা নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। মাস্ক এক মাত্র আমাদের সংক্রমন থেকে রক্ষা দেয়।

মন্ত্রী এক সমীক্ষা প্রতিবেদনরে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের শতকরা ১ জনের আইসিইউর প্রয়োজন। যে হারের করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে হাসপাতালে আইসিইউ বেডের সংকট দেখা দিবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী বানিজ্য মেলার সমালোচনা করে বলেন, বানিজ্য মেলায় অনেকই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছে না। সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য মানার ক্ষেত্রে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে।