সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::
পাংশায় গৃহবধূ লিপি হত্যাকান্ডে ঘাতক স্বামী রুবেল সরদারকে জেলহাজতে প্রেরণ
বিশেষ প্রতিনিধি, পাংশা (রাজবাড়ী)
- আপডেট সময় : ০৮:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২ ১৩২ বার পড়া হয়েছে
পাংশার মাছপাড়া-কালিনগর গ্রামে গৃহবধূ লিপি খাতুন হত্যাকান্ডের আসামী রুবেল সরদারকে বৃহস্পতিবার পাংশা থানা থেকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউপির মাছপাড়া-কালিনগর গ্রামে গত বুধবার ১৯ জানুয়ারী সকালে গৃহবধূ লিপি খাতুন (২৭) হত্যাকান্ডে পাংশা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ২৮, তারিখ ১৯/০১/২০২২, ধারা ৩০২ পেনাল কোড-১৮৬০। নিহত লিপি খাতুনের পিতা মো. এলেম আলী শেখ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামী লিপি খাতুনের স্বামী রুবেল সরদার (৩৫)কে বৃহস্পতিবার ২০ জানুয়ারী পাংশা মডেল থানা থেকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, ১৩ বছর আগে মাছপাড়া-কালিনগর গ্রামের ওকুল সরদারের ছেলে রুবেল সরদারের সাথে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক লিপি খাতুনের বিয়ে হয়। বিবাহের পর তাদের সাংসারিক জীবনে লিপি খাতুনের গর্ভে ৩টি ছেলে সন্তান রাসেল সরদার (১১), রিফাত সরদার (৬) ও সিফাত সরদার (৩) জন্মলাভ করে। বিয়ের পর হতে লিপি খাতুন ও রুবেল সরদার স্বামী-স্ত্রী দু’জনের মধ্যে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ হতো। বিগত একমাস আগে রুবেল সরদার লিপি খাতুনকে মারপিট করে বাড়ী থেকে বের করে দিলে লিপি খাতুন পিতার বাড়ীতে চলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনের সমন্বয়ে রুবেল সরদার লিপি খাতুনকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। রুবেল সরদার লিপি খাতুনকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর পূর্বের ন্যায় খারাপ ব্যবহার ও মারপিট করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ জানুয়ারী রাত আনুমানিক ১০টার দিকে সাংসারিক বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ হয়। ১৯ জানুয়ারী সকাল ৮টার দিকে রুবেল সরদার বসতঘরের দরজার খিল লাগিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী লিপি খাতুনকে মাথার পিছনে কোপ মারলে লিপি খাতুন ঘরের মেঝেতে পড়ে ডাক চিৎকার করতে থাকে। এরপর লিপি খাতুনের গলার সামনে ও ঘাড়ের পিছনের অংশে ধারালো দা দিয়ে একাধিক কোপ মেরে গলা ও ঘাড়ের উভয় পাশে গভীর ক্ষত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে রুবেল সরদারের ভাবি শিল্পী খাতুনসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে ঘরের দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে রুবেল সরদার তার হাতে রক্তমাখা দা নিয়ে দরজা খুলে ঘর হতে বের হয়ে আসে। তখন স্থানীয় লোকজন রুবেল সরদারের হাতে রক্তমাখা দা, পরিহিত শার্ট ও লুঙ্গিতে রক্তমাখা দেখে রুবেল সরদারকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। পরবর্তীতে রুবেল সরদারকে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। পাংশা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে নিহত লিপি খাতুনের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়রা তদন্ত শেষে বুধবার রাত ৯টার দিকে পৈত্রিক বাড়ী বেজপাড়া গ্রামের গোরস্থানে লিপি খাতুনের দাফন সম্পন্ন হয়।