পটুয়াখালীতে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান গৃহবধূ
- আপডেট সময় : ০২:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩ ১৭৪ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর দুমকীতে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি করে পুলিশ জানান অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে সেই আগুনেই দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন গৃহবধূ হালিমা আক্তার মীম। এ পরিকল্পনার আরেক সহযোগী নিহতের ভগ্নিপতি আরিফ সিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুমকি মহাসড়কের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ এবং ছায়া তদন্ত শেষে রোববার রাতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার কার্তিকপাশা গ্রামের হামেদ সিকদারের ছেলে।
গ্রেপ্তার আরিফ সিকদার পুলিশকে জানিয়েছেন দাবি করে পুলিশ সুপার জানান, শ্বশুর বাড়ির লোকদের ফাঁসানোর জন্য মীম আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করেন। এজন্য তাঁর ভগ্নিপতি আরিফকে ডেকে আনেন। আরিফ ঢাকার কেরানীগঞ্জে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে কর্মরত।
সাইদুল ইসলাম আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ই জুন আগুন লাগানোর নাকট সাজাতে গিয়ে গৃহবধূ মীম ও তার শিশুর শরীরে আগুন ধরে যায়। এতে তারা দগ্ধ হন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তার আরিফকে আদালাতে পাঠিয়ে জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, এ ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কি-না তা খতিয় দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ই জুন দুমকীর নতুন বাজার এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ হালিমা আক্তার মীমসহ তার ছয় মাস বয়সী শিশুকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দগ্ধদের প্রথমে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরদিন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এদিকে চিকিৎসাধীন শিশুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মামা ওমর ফারুক বাদী হয়ে ওই গৃহবধূর শাশুড়ির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।