সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::
ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলবে ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ
পদ্মা বুলেটিন ডেস্কঃ
- আপডেট সময় : ১১:১৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
এবারের পবিত্র ঈদুল আযহা’য় দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করবে ছোট বড় ১৮টি ফেরি, ২০টি লঞ্চ ও ১০টি স্প্রীড বোর্ড।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আযহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে নৌযান সমুহ সুষ্ঠভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষে আয়োজিত সমন্ময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে প্রশাসন, ঘাট ও পরিরহন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, এবার ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট বড় ১৮টি ফেরি, ২০টি লঞ্চ ও ১০টি স্প্রীড বোর্ড চলাচল করবে। এছাড়া ঘাটের যানজট নিরসনে ঈদের আগে ও পরে মোট ৭টি দিন পশুবাহি ও জরুরী পচনশীন পন্যবাহি ট্রাক ব্যাতিত সাধারন ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। এবং রাতে বন্ধ থাকবে স্প্রীড বোর্ড চলাচল। এছাড়া টার্মিনাল যানবাহনের ভাড়ার চার্ড টানানোর পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিকদের কটি পরিহিত নিশ্চিতকরণ। ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, টার্মিনালে যানবাহন প্রবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়া চাঁদাবাজ, দালাল নিমূলে ঘাট এলাকাসহ সড়কে থাকবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে ঘাট প্রস্তুত সহ সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ঘাট সংশ্লিষ্টরা।
রাজবাড়ী জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন বলেন, ঈদের কয়েকদিন আগে অতিরিক্ত কিছু যানবাহন, মাহেন্দ্রার কারণে ঘাট এলাকায় যানজট তৈরি হয়। যা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আর তারা গত ঈদে যে ভাড়া নিয়েছেন, এবারও সে ভাড়া নেবেন। এবং ভাড়ার চার্ড প্রতিটি কাউন্টারে টানানো থাকবে। ভাড়া ব্যাতিত যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত কোন ভাড়া নেওয়া হয় না। তাছারা নিদিষ্ট রুটের বাসে স্টিকার লাগানো থাকবে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যাত্রীদের আসা যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাববে।কোন ধরনের চাঁদাবাজী দলালীর অভিযোগ এবং চার্ডের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়া পুলিশ যাত্রীদের জানমাল রক্ষা ও পশুবাহি ট্রাকে চাঁদাবাজী রোধে সক্রিয় থাকবে।
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, ভোগান্তি বিহিন ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর দৌলতদিয়া ঘাটের চাপ কমে এসেছে। তারপরও ঈদের ঘরমুখো মানুষের চাপের পাশাপাশি এবার পশুবাহি ট্রাক নদী পারাপার হবে। ফলে গত ঈদের চেয়ে এবার চাপ একটু হলেও বাড়বে। ফেরি ও লঞ্চ স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করলে এবারও কোন ভোগান্তি হবে না। তারপরও সব বিষয়ে জেলা প্রশাসন সব সময় মনিটরিং করবে।