সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::
পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে দুটি ফেরি ঘাট বন্ধ, দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের লম্বা সিরিয়াল
পদ্মা বুলেটিন ডেস্কঃ
- আপডেট সময় : ০৭:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে দুই দিন ধরে আকষ্মিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২৪ ঘন্টায় ৭২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধির কারনে র্যামের মাথা তলিয়ে যাওয়ায় দৌলতদিয়ার ৩ ও ৪ নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ রয়েছে। চালু থাকা ৬ ও ৭নম্বর ঘাটটিও বন্ধের আশঙ্কা রয়েছে। যানবাহন পারাপার ব্যাহত হওয়ায় দৌলতদিয়ায় যানবাহনের লম্বা সিরিয়াল তৈরি হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আকষ্মিক পানি বৃদ্ধির কারনে র্যামের মাথা তলিয়ে যাওয়ায় সোমবার (১৯ জুন) দুপুর ১২টা থেকে ৪নম্বর ঘাট বন্ধ হয়। এর আগে পানিতে র্যাম তলিয়ে যাওয়ায় এবং সড়ক সংস্কারের কারনে শনিবার থেকে ৩ নম্বর ঘাট বন্ধ আছে। সোমবার সকালে ৬নম্বর ঘাটটি বিআইডব্লিউটিএ চালু করলেও ইউটিলিটি (ছোট) ফেরির পন্টুন হওয়ায় বড় ফেরি ভিড়তে পারছেনা। রো রো (বড়) ফেরির জন্য একমাত্র ৭নম্বর ঘাট চালু থাকলেও র্যামের মাথা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। যে কোন মুহুর্তে এটিও বন্ধের আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
সরজমিন বেলা তিনটার দিকে দেখা যায়, ৩নম্বর ঘাটের র্যামের মাথা কয়েক ফুট পানির নিচে। ঘাটে কোন ফেরি ভিড়ছে না। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কের সংস্কার কাজ করছে। ৪নম্বর ঘাটের র্যামের মাথা তলিয়ে যাওয়ায় দুপুর ১২টা থেকে ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। রেকারের সাহায্যে র্যাম টেনে উপরে তোলা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ৬নম্বর ইউটিলিটি ফেরি ঘাট সোমবার সকালে চালু হলেও সড়ক থেকে পন্টুন নিচু হওয়ায় ফেরিতে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি ওঠানামা করছে। ৭নম্বর ঘাটের র্যামের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহি বাস উঠতে না পেরে আটকে আছে। পাশের পন্টুন দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি ওঠানামা করছে। পারাপার ব্যাহত হওয়ায় ঘাটে প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা দুই লাইনে ঢাকাগামী পশুবাহী গাড়িসহ বিভিন্ন গাড়ি ফেরির নাগাল পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ফেরিতে ওঠার সময় গাড়ির পিছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফরিদপুরের কানাইপুর থেকে আসা আরেক পণ্যবাহী গাড়ি চালক আবুল হোসেন বলেন, দেড় ঘন্টা ধরে লম্বা লাইনে আছি। শুনেছি ঘাট সমস্যার কারনে ফেরি আসতে দেরি হচ্ছে। বহুদিন পর ঘাটে এভাবে লম্বা লাইনে আটকে থাকতে হলো।
পন্টুনে আটকে পড়া বাসের চালক শ্যামল দাস বলেন, ৭নম্বর ঘাটের র্যাম পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বঝুতে পারেনি কোথাও সমস্যা আছে কি না। দুপুর দেড়টার দিকে ফেরিতে উঠতে গিয়ে র্যামের মাথার সামনে গর্তে চাকা আটকে যায়। এখন রেকারের সাহায্যে বাসটি টেনে তোলার অপেক্ষা করছি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, আকষ্মিকভাবে পানি বাড়ায় সবকটি ঘাটের র্যামের মাথা তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। রেকারের সাহায্যে র্যাম লো-ওয়াটার থেকে মিড-ওয়াটার লেভেলে স্থানান্তর শেষে সন্ধ্যা নাগাদ ৪নম্বর ঘাট চালু হবে বলে আসা করছি। ৭ ও ৩ নম্বর ঘাটও একইভাবে লো-ওয়াটার থেকে মিড-ওয়াটারে স্থানান্তর শেষে চালু করা হবে।