০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় গৃহবধূকে ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ, থানায় মামলা

মোংলায় এক গৃহবধূর মুখ বেঁধে, মারধর করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।  মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের শেখ রাসেল সড়কের বাসিন্দা আশ্রাব আলীর ছেলে হাসান শিকদার (২৬) ও ১নম্বর ওয়ার্ডের মোর্শেদ সড়কের বাসিন্দা মান্নান মাস্টারের ছেলে রফিকুল (২৫) ২৯জুন রাত (২৮জুন দিবাগত রাত) দেড়টার দিকে ১নম্বর ওয়ার্ডের মোর্শেদ সড়কের জনৈক নাসিরের ভাড়াটিয়া এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বলেন, আমার ভাড়া বাসার সামনের টেইলার্সে কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে অর্ডারের কাপড়চোপড় তৈরি করছিলাম। তখন (২৯জুন রাত দেড়টায়) হাসান ও রফিকুল আমার টেইলার্সে ঢুকে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমাকে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে। তাদের মারপিটে ডাক চৎকার করলে মেরে ফেলার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখ বেঁধে পাশের আমার ঘরে নিয়ে যায়। ঘরে নিয়ে দরজা-জানালা আটকে দিলে আমি অসুস্থ বলে তাদেরকে হাতেপায়ে ধরে অনুনয় বিনয় করি। তাতে তাদের মন গলেনি, তারা দুইজনে মিলে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের সেই ভিডিও তারা তাদের মোবাইলে ধারণ করেন। চলে যাওয়ার সময় সেই ভিডিও আমাকে দেখিয়ে শাসিয়ে যায়, বলে এ ঘটনা কাউকে বললে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করে দিবে। তাদের ভয়ভীতি ও হুমকিধামকি এবং নজরদারীতে এক ধরণের অবরুদ্ধ থাকায় ঘর থেকে বাহির হয়ে থানায় গিয়ে মামলা করতে দেরি হয়েছে।

ঘটনার ৪দিনের মাথায় আমি বাদী হয়ে হাসান ও রফিকুলের বিরুদ্ধে রবিবার রাতে (২জুন) থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছি।

ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু (৩৬) পেশায় একজন টেইলার্স দর্জি। স্বামীর সংসারের পাশাপাশি দর্জি কাজ করে জীবিকানির্বাহ করে আসছেন ওই গৃহবধু। ভাড়া বাড়ীতে স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই থাকতেন। তাদোর কোন সন্তান নেই। ঈদ উপলক্ষে স্বামী গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে গেলে বাড়ীতে একা থাকেন ওই গৃহবধূ। বাড়ীতে একা থাকার সুযোগে তাকে মারধর করে, বেঁধে ধর্ষণ করেন মামলার আসামী হাসান ও রফিকুল।

মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, পেশায় দর্জি গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় রবিবার রাতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার আসামীরা পলাতক রয়েছেন, তাদেরকে গ্রেফতারের পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি (থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) সামসুদ্দীন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

মোংলায় গৃহবধূকে ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ, থানায় মামলা

Update Time : ১১:৪৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩

মোংলায় এক গৃহবধূর মুখ বেঁধে, মারধর করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।  মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের শেখ রাসেল সড়কের বাসিন্দা আশ্রাব আলীর ছেলে হাসান শিকদার (২৬) ও ১নম্বর ওয়ার্ডের মোর্শেদ সড়কের বাসিন্দা মান্নান মাস্টারের ছেলে রফিকুল (২৫) ২৯জুন রাত (২৮জুন দিবাগত রাত) দেড়টার দিকে ১নম্বর ওয়ার্ডের মোর্শেদ সড়কের জনৈক নাসিরের ভাড়াটিয়া এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বলেন, আমার ভাড়া বাসার সামনের টেইলার্সে কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে অর্ডারের কাপড়চোপড় তৈরি করছিলাম। তখন (২৯জুন রাত দেড়টায়) হাসান ও রফিকুল আমার টেইলার্সে ঢুকে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমাকে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে। তাদের মারপিটে ডাক চৎকার করলে মেরে ফেলার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখ বেঁধে পাশের আমার ঘরে নিয়ে যায়। ঘরে নিয়ে দরজা-জানালা আটকে দিলে আমি অসুস্থ বলে তাদেরকে হাতেপায়ে ধরে অনুনয় বিনয় করি। তাতে তাদের মন গলেনি, তারা দুইজনে মিলে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের সেই ভিডিও তারা তাদের মোবাইলে ধারণ করেন। চলে যাওয়ার সময় সেই ভিডিও আমাকে দেখিয়ে শাসিয়ে যায়, বলে এ ঘটনা কাউকে বললে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করে দিবে। তাদের ভয়ভীতি ও হুমকিধামকি এবং নজরদারীতে এক ধরণের অবরুদ্ধ থাকায় ঘর থেকে বাহির হয়ে থানায় গিয়ে মামলা করতে দেরি হয়েছে।

ঘটনার ৪দিনের মাথায় আমি বাদী হয়ে হাসান ও রফিকুলের বিরুদ্ধে রবিবার রাতে (২জুন) থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছি।

ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু (৩৬) পেশায় একজন টেইলার্স দর্জি। স্বামীর সংসারের পাশাপাশি দর্জি কাজ করে জীবিকানির্বাহ করে আসছেন ওই গৃহবধু। ভাড়া বাড়ীতে স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই থাকতেন। তাদোর কোন সন্তান নেই। ঈদ উপলক্ষে স্বামী গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে গেলে বাড়ীতে একা থাকেন ওই গৃহবধূ। বাড়ীতে একা থাকার সুযোগে তাকে মারধর করে, বেঁধে ধর্ষণ করেন মামলার আসামী হাসান ও রফিকুল।

মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, পেশায় দর্জি গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় রবিবার রাতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার আসামীরা পলাতক রয়েছেন, তাদেরকে গ্রেফতারের পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি (থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) সামসুদ্দীন।