মোংলায় জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে দোকানদারকে মারধর, ভাংচুর ও দোকান লুট
- আপডেট সময় : ১০:৪৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩ ১২৫ বার পড়া হয়েছে
মোংলার চিলা সিন্দুরতলা এলাকার সন্ত্রাসী সাদ্দাম ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। করছে একের পর এক অপকর্ম, মারধর ও লুটপাট। প্রতিনিয়ত এলাকার দোকানদারসহ নিরিহ মানুষের সাথে ঝগড়া বিবাদ, মারপিট করা সহ সুন্দরবনে একাধীক অপকর্মের সাথে জড়িত আছে সাদ্দাম সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
তাদের এহেন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খোলতে সাহস পাচ্ছেনা। পুনরায় জমির সিমানা নিয়ে অহেতুক এক নারীকে গালাগালী ও তার স্বামীকে মারধর ও দোকানে লুটপাট করে। এনিয়ে থানা সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, আসামী সাদ্দাম শেখের সাথে দুলাল চৌকিদারের জমির সীমানা নিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ ও মনোমালিন্য চলে আসছে। এমতাবস্থায় ১২ জুলাই দুপুরের দিকে চিলা সিন্দুরতলা এলাকায় তাদের মুদি দোকানের ভিতরে আসামী ইমামুল শেখ সাদ্দাম এসে আমার দুলাল চৌকিদার কে অকারণে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। সন্ত্রাসী সাদ্দামের গালাগালীতে প্রতিবাদ করলে সাদ্দাম ক্ষিপ্ত হয়ে দুলালের দোকানে ডুকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে থাকে। এসময় তার স্ত্রী চন্দ্র বেগম বাচাতে আসলে তাকেও মারধর করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরে তার সাথে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসী সাঙ্গপাঙ্গরা দাও, লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় বলে থানায় দেয়া অভিযোগে দাবী করা হয়। এতে দুলাল চৌকিদার সহ বেশ কয়েকজন মারাত্বক ভাবে আহত হয়েছে এবং তার ন্ত্রীকে অকথ্য খারাপ ভাষায় গালাগাী করে।
পরে মারপিট চলাকালীন একপর্যায়ে সাদ্দামের অন্যান্য সন্ত্রাসীরা দুলালের মুদি দোকানের বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় দোকানের মালামাল ও ক্যাশে থাকা নগদ টাকা লুট করে নেয় বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় আবুল শেখ, মোঃ ফজল ফকির, মোঃ জাহাঙ্গীর মোছাল্লী সহ এলাকাবাসী ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। স্থানীয় ইউপি মেম্বার ইশারত ফকির ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে এহেন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা সহ স্থানীয় ভাবে মিমাংসার আশ্বাস দেয়। কিন্ত সন্ত্রাসী সাদ্দাম সহ অন্যান্যরা বেপরোয়া ভাবে মেম্বার সহ উপস্থিত লোকজনের সম্মুখে দুলাল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও সুযোগ পেলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। দুলাল ও তার স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তার ভয়ে চন্দ্রা বেগম বাদি হয়ে সন্ত্রাসী মোঃ ইমাদুল শেখ সাদ্দাম, মোঃ ইকরাম শেখ, মোঃ রফিক শেখ, মোঃ সাইফুল শেখ সহ বেশ কয়েকজনের নামের থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ সামসুদ্দীন জানান, উপজেলার চিলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সিন্দুরতলা এলাকার মারামারীর ঘটনায় একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। এস আই বাহারুল ইসলামকে তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে। সে তদন্ত করে আমাকে জানালে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন সহ আসামীদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানায় থানার এ কর্মকর্তা। ###