সালথায় রাতের আধারে জাতীয় শোক দিবসের তোরণ ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
- আপডেট সময় : ০৪:২২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ ১৪৪ বার পড়া হয়েছে
ফরিদপুরের সালথায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নির্মিত তোরণ ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ছিড়ে ফেলা হয়েছে ১৫ আগস্ট ঘাতকদের গুলিতে নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের ছবি।
গতকাল রবিবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাতে সালথা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সালথা বাজারের মাঝে প্রধান সড়কের উপর এই তোরণ নির্মাণ করেছিলেন নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারন সম্পাদক ও বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া।
আজ সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে বেশ কয়েকটি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সালথায় একটি তোরণ নির্মাণ করেন অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া।
তবে কে বা কারা তোরণটি ভেঙে ফেলেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি বাজারের দোকানদাররা। বাজারের কয়েকজন দোকানদার বলেন, গত শনিবার তোরণটি নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। আজ সোমবার সকালে এসে দেখা যায়, তোরণটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে রাতের আধারে কেউ তোরণটি ভেঙেছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক ও বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া বলেন, যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছবি সম্বলিত শোক দিবসের গেট ভাংচুর করেছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। আমি এ ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, সেই সাথে দোষীদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সালথা থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সালথা থানার(ভারপ্রাপ্ত)কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ শেখ সাদিক বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি, আমরা ইতিমধ্যে বিষয়টি তদন্তের জন্য দুইজন পুলিশ অফিসার কে দায়িত্ব দিয়েছি এবং দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই জাতীয় সকল গেট ও পোস্টারের নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আমরা বাজারের সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে খুব শীগ্রই দোষীদের খুঁজে বের করা হবে।