সরোয়ার আহমেদ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পৌরসভার কর বকেয়া পড়েছে কোটি টাকারও বেশি। এর ভিতরে কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌরসভার কর বাকি প্রায় এক কোটি টাকার মত।
এ ছাড়াও পৌরসভার ভিতর অবস্থিত বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পৌরবাসি অনেকেই সময় মত দিচ্ছেনা পৌরকর।
এই রকম কর পরিশোধে অনিহা থাকায় পৌরসভার স্বাভাবিক কার্যক্রমে ঘটছে ব্যাঘাত।
এছাড়া বকেয়া কর আদায়ে দফায় দফায় চিঠি দেওয়ার পরও পৌরকর পরিশোধ করেনি ৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বকেয়া চলতি কর দিতেও অনিহা অনেক পৌরবাসির।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু মাত্র গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের কাছে পৌরকর বকেয়া পড়েছে ৪৯ লাখ টাকা। যা এখনো আদায় করা সম্ভব হয়নি।
এ ছাড়া আরো কিছু সরকারি প্রতিষ্টানের ভিতর গোয়ালন্দ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিকট বকেয়া রয়েছে ২৭ লাখ টাকা, গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নিকট বকেয়া ১০ লাখ টাকা।
এ দিক্র পৌরসভার হোল্ডিং সংখ্যা ৫১৪৮ জন হলেও সেখানেও নিয়মিত কর দিচ্ছে ৫শতাধিক হোল্ডিং নাম্বার থেকে আর তিন থেকে ৪ শতাধিক রয়েছে অনিয়মিত। এদের ভিতর কেউ ২ বছর ৩ বছর পর পর দিচ্ছে পৌর কর। তাই বলা চলে অধিকাংশ হোল্ডিং গুলোই দিচ্ছে না পৌরকর।
এ সকল বকেয়া কর আদায়ের জন্য বিভিন্নসময় পৌরসভার উদ্যোগে মাইকিং করলেও তেমন কোন কর আদায় হচ্ছে না।
গোয়ালন্দ পৌরসভা ৯ টি ওয়াড, ৫ টি মৌজা নিয়ে ২০০০ সালের ২৬ শে জুলাই প্রতিষ্ঠা পায়। বর্তমানে এখানে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি জনসংখ্যা রয়েছে আর এতে হোল্ডিং সংখ্যা রয়েছে ৫১৪৮ জন।
গোয়ালন্দ পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জানায়, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর নিয়মিত দিলেও সরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাছেই বকেয়া ৮৬ লক্ষ টাকা এ টাকা আদায় হলে পৌরসভার উন্নয়নে ব্যয় করা যেত। তিনি আরো বলেন যারা হোল্ডিং নাম্বার নিয়েছেন তারাও ঠিক সময় পৌরকর পরিশোধ করছে না।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, চলতি বছরে কর আদায়ের লক্ষে মাইকিং করলেও তেমন কোন সারা পাইনি। তবে সরকারি ৩টি প্রতিষ্ঠান বেশ কয়েক বছর ধরে কয় আদায় সম্ভব হচ্ছে না। দফায় দফায় চিঠি দিলেও তারা কর পরিশোধ করেনি। এছাড়াও পৌরসভায় যারা হোল্ডিং নাম্বার নিয়েছেও তারাও পৌরকর নিয়মিত দিচ্ছে না। এজন্য পৌরবাসীর সেবা নিশ্চিতে পৌরসভাকে অনেক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।