মোংলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সংঘর্ষে আহত ৬ , থানায় পৃথক অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৯:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩ ১২১ বার পড়া হয়েছে
মোংলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ঘে ৬ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। রবিবার রাতে শহরের মামার ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে মোংলা থানা পুলিশ, থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানায়, ২০১৪ সালে বিকাশের টাকার ঘটনা নিয়ে বেশ পুর্ব থেকেই দন্দ চলে আসছিল সাহিন হাওলাদার ও হারুনার রশিদের মধ্যে। এ নিয়ে আদালতে পৃথক মামলাও হয়েছিল। পরে আদালতের মাধ্যস্থতায় পুর্বে সকল মামলা নিস্পত্তি হলেও মনের রাগ ও ক্ষোভ রয়েই গেছে উভয় গ্রুপের মধ্যে।
রবিবার ১৩ আগষ্ট রাত ১১টার দিকে পৌর শহরের মোংলা নদী পাড়পাড়ের মামার ঘাট এলাকা দিয়ে মটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল হারুন আর রশিদের ছেলে হাসিবুর হাসান রনি। এসময় পুর্ব শত্রুতার জের হিসেবে শাহিন ও তার লোকজনের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাক-বিতান্ডার এক পর্যায় এটি সংঘর্ষে রুপ নেয়। শুরু হয় উভয় গ্রুপের লোকজনের সাথে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-ছোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় এলোপাতারী মারধরে উভয় গ্রুপের ৬জন রক্তাক্ত জখম হয়।
এরা হচ্ছে, হাসিবুর হাসান রনি (২২), রাকিবুল হাসান হৃদয় (২৭) ও হারুন আর রশিদ (৫০)। এ ছাড়া অন্য গ্রুপের মোঃ শাহিন হাওলাদার (৫৫), সাদনান তাওহিদ (২২) ও মোঃ আজম (৩৫)। এদের মধ্যে শাহিন হাওলাদার ও হাসিবুর হাসান রনি গুরুতর। স্থানীয় আহতদের উদ্ধার করে রাতে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এবিষয় লক্ষিট্রেড ইন্টারন্যাশনাল বিকাশ ডিস্টিভিশন’র মালিক হারুন আর রশিদ বলেন, ২০১৪ সালে শাহিন হাওলাদার আমার বিকাশ ডিস্টিভিশনে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। এসময় বাগেরহাট ব্যাংকের এক ব্রাঞ্চ থেকে অন্য ব্রাঞ্চে টাকা স্থানান্তিত করার সময় ৬০ লক্ষ টাকা নিয়ে লাাপাত্তা হয় এবং দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকে শাহিন। সেই টাকা ফেরত না দেয়ায় আদালতে মামলা দেয়া হয়। সেই থেকেই আমার বিকাশ প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করে আসছে শাহিন সহ তার লোকজন। আর রবিবার রাতে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে তারা।
অপরদিকে, শাহিন হাওলাদার বলেন, ২০১৪ সালের আগে থেকেই আমি বিকাশের ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছি। পরবর্তীতে হারুনকে পাটনার হিসেবে নিয়ে বিকাশ ডিস্টিভিশন করে আসছিলাম। কিছু দিন যেতে না যেতেই সেই ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে আমার দেয়া টাকা তার হেফাজতে নিয়ে তাল বাহানা করতে থাকে হারুন। পরে আমার টাকা আমি বুঝে নেই এবং আমার হাতে গড়া ওই প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকে বাদ দিয়ে দেয়। পরে পুনরায় আমি আলাদা ব্যাবসা পুরচালনা করি। রবিাবার রাতে আমি দোকানে বসা অবস্থায় হারুন, ছেলে রনি, হৃদয় সহ তার লোকজন আমাদের এরাপাথারী ভাবে মারপিট করে, যাতে আমরা রক্তাক্ত জখম হই।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহাইমিন ইবনে মোস্তাফিজ বলেন, মারামারীর ঘটনা নিয়ে রাতে হাসপাতালে ৬জন রুগী আসলেও তাদের মধ্যে ৪ জনকে এখানে ভর্তি করা হয় এবং বাকি দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ বেশী অসুস্থ হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হবে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ সামসুদ্দিন জানান, খবর পাওয়ার পর পরই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে মোংলা থানা পুলিশের একটি দল। এছাড়া মামলার জন্য পৃথম দুইটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে এখানে। তদন্ত চলছে, দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানায় এ কর্মকর্তা।##