মোংলা বন্দর (সিবিএ) নির্বাচন নিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা
- আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘ (সিবিএ) নির্বাচন নিয়ে চমর ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে কর্মচারীদের মধ্যে। নির্বাচনের সময় সিমা পার হলেও যথা সময় নির্বাচন না দেয়ায় সাধারন কর্মচারীদের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
কর্মচারীদের অভিযোগ, বর্তমান নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সিবিএ নির্বাচন না দিয়ে কাল ক্ষেপন করার অভিযোগ করেছে বন্দরের অন্যান্য কর্মচারীরা। এ বিষয় নিয়ে নির্বাচনী তফসিলের বিধান লঙ্গন সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে শ্রম অধিদপ্তর ও বন্দর চেয়ারম্যানসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগের সুত্রে জানা যায়, মোংলা বন্দর কর্মচারী সংঘ (সিবিএ)দুই বছর পর পর দ্বি-বাষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাই গত ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর দুই বছরে কর্মচারীদের সংগঠনে নির্বাচন হয় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ)। সরকারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সে নির্বাচনে নেতাদের বিজয়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৭ অক্টোবর। কিন্ত নিয়োমানুযায়ী নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৫ দিন পূর্বে সেই কার্যনির্বাহী পরিষদ আগামী দ্বি-বার্সিক নতুন নির্বাচনের তফসিল বা নির্বাচন দেয়ার জন্য অফিসিয়ারী সকল কার্যক্রম গ্রহন করবেন কার্যনির্বাহী পরিষদ। বর্তমান পরিষদ নতুন নির্বাচনের কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে বা তফসিলসহ কোন কার্যক্রম গ্রহণ না করে বর্তমান পরিষদ তাদের ক্ষমতা আকড়ে ধরে নিভিন্ন তালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করে সাধারন কর্মচারীরা। এতে নির্ধারিত সময় নির্বাচন না হওয়ার আশংকা প্রকাশ করছে বন্দরের কর্মচারীরা। আর বর্তমান পরিষদের নেতারা নির্বাচন না দেওয়ায় বন্দরের সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছেন স্বীকার করে রেজিষ্টার্ড অব ট্রেড ইউনিয়ন বিভাগীয় শ্রম দপ্তর খুলনার পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের কার্যনির্বাহী পরিষদই যথাসময়ে নির্বাচন দিবেন। এটা তাদের দায়িত্ব। শ্রম দপ্তর এই নির্বাচনে আইনগত সকল কার্যক্রমের তত্বাবধায়ন করবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে যথাসময়ে নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি!
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) বর্তমান সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম পল্টু বলেন, আগামী কয়েকমাস পরেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তাই জাতীয় স্বার্থে বন্দরের সিবিএ নির্বাচন আপাতত সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তবে সরকারী ভাবে যদি কোন বাধা বাধ্যগতা না থাকে তবে সিবিএ নির্বাচন দেয়া আমাদের পক্ষ থেকে কোন আপত্তি নেই। যদি নিয়োম না থাকে তবে জাতীয় নির্বাচনের পরে হবে মোংলা বন্দর কর্মচারী সংঘ সিবিএ নির্বাচন।
এদিকে বন্দর সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম ফিরোজ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান সাকিব বলেন, গঠনতন্ত্রে ২৬ নম্বর ধারা মোতাবেক নির্বাচিত পরিষদ পরবর্তী নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত সময়ের ৪৫ দিন পূর্বে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার বিধান থাকলেও বর্তমান পরিষদের নেতারা এখনও তা করেনি। ক্ষমতা আকড়ে রাখার জন্য বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কাল ক্ষেপন করছে তারা। এ নিয়ে সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। এ নির্বাচন নিয়ে যে কোন মুহুর্তে কর্মচারীদের মধ্যে মনের অমিল সহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেণ তারা। নির্বাচনী নিয়োমানুযায়ী গত ২ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণার সময় পার হয়ে গেছে। বর্তমান পরিষদ নতুন নির্বাচন নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা দেখছিনা তাদের মধ্যে। ফলে বন্দরের সাধারণ কার্যক্রমেরও গতি কমে আসতে পারে, যাতে বন্দরের চলমান উন্নয়নের গতিধারা ব্যহত হবে বলেও জানান সাবেক নেতারা। তাই অনতি বিলম্বে মোংলা বন্দর কর্মচারী সংঘ (সিবিএ) নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানায়। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না দিয়ে বা নেতারা ক্ষমতায় বহলে থাকার জন্য নতুন নির্বাচনের ব্যতিক্রম হলে তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ ও নানা আন্দোলন কর্মসুচির মাধ্যমে সিবিএ ভবন তালাবদ্ধ করে নেতাদের অবরুদ্ধ সহ বিভিন্ন হুশিয়ারী দেন সাধারণ কর্মচারী ও সাবেক নেতৃবৃন্দরা।##