রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে নঙ্গর করেছে “এমভি বসুন্ধরা এমপ্রেস” নামের দেশীয় বানিজ্যিক জাহাজ। ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা এবারের চালানে ৩১ হাজার ৩শ মেট্রিক টন জালানী কয়লা নিয়ে বন্দরের হারবাড়িয়ার ১২ নম্বর এ্যাঙ্কারেজ বয়ায় নঙ্গর করে জাহাজটি। কয়লা খালাস করে লাইটার যোগে নেয়া হবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে।

স্থানীয় মেসার্স টগি শিপিং এজেন্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়ায় আসে দেশীয় পতাকাবাহী “এমভি বসুন্ধরা এমপ্রেস” নামের বানাজ্যিক এ জাহাজ। গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতের জোয়ারে এসে বঙ্গোপসাগর মোহনার হিরোনপয়েন্টে ফেয়ারওয়ে বয়ায় অবস্থান করছিল জাহাজটি, শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ভোরে সরাসরী হারবাড়িয়ার ১২ নম্বর এ্যাঙ্কারেজ বয়ায় এসে নঙ্গর করে। জাহাজটি গত ৪ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার “মোয়ারা পানথাই” নামক বন্দর থেকে ৪৯ হাজার ৭শ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে বাংলাদেশের উদ্দোশ্য ছেড়ে আসে। ইন্দেনেশিয়া থেকে সাগর পথে ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে চট্রগ্রাম বন্দরে এসে ১৮ হাজার ৪শ মেঃ টন কয়লা সেখানে খালাস করে। পরে ২২ সেপ্টেম্বর রাতে মোংলা বন্দরের উদ্দোশ্যে ছেড়ে আসে, জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরে পৌছাতে ১৯ দিন সময় লেগেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বন্দরের হারবাড়িয়া ১২ নম্বরে নঙ্গরের পর দুপুরের পালা থেকে কয়লা খালাসের কাজ শুরু করে কয়লা খালাসকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম এ হাসেম এন্ড সন্স কোম্পানীর লিঃ এর প্রতিনিধিরা। খালাস করা কয়লা কার্গো জাহাজ ও লাইটার যোগে নেয়া হবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে। রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়লার সংকটে বন্ধের পরে কয়লা নিয়ে আসা এটি ৯ম চালানের জাহাজ।

মেসার্স টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিঃ এর সহকারী অপারেশন কর্মকর্তা মোঃ হোসেন ইমান বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমরা কয়লা আনা অব্যাহত রেখেছি। এ জাহাজের পর আগামীতে আরো পর পর দুইটি জাহাজ রয়েছে। এর আগে গত ১৩ আগষ্ট পঞ্চম চালানের ৩১ হাজার ৭শ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে “এমভি বসুন্ধরা এমপ্রেস” নামের এই জাহাজটি কয়লা খালাস করে মোংলা বন্দর ত্যাগ করেছিল। আর ৮ম চালানে গত ১০ সেপ্টেম্বর ২৯ হাজার ৬২০ মেঃ টন কয়লা মোংলা বন্দরে খালাস করছিল বিদেশী জাহাজ “এমভি জুয়েল অফ সোর্স”।##