০৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে বন্ধ ট্রেন চালুর দাবিতে মতবিনিময় সভা বয়কট করলেন ব্যাবসায়ীরা

গোয়ালন্দ ঘাট-রাজশাহী-খুলনা রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেন যমুনা এক্সপ্রেসসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া অপর দুটি লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে মতবিনিময় সভা বয়কট করেছেন গোয়ালন্দ ঘাটের ব্যাবসায়ীরা।

শুক্রবার বিকেল ৩ টায় গোয়ালন্দ পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ফকির মহিউদ্দিন আনছার ক্লাব চত্ত্বরে এ সভার আহবান করেন গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ফকির আব্দুল কাদের। কিন্তু সন্ধ্যা অবধি সভাটি করা সম্ভব হয়নি।

সভায় গোয়ালন্দ ঘাট (দৌলতদিয়া) থেকে স্হানীয় বোডিং মালিক সমিতির সভাপতি-আঃ জলিল ফকির, দৌলতদিয়া ঘাট হকার্স সমবায় সমিতির সভাপতি বাবুল শেখ,সিনিয়র সহ-সভাপতি কাশেম ফকিরসহ শতাধিক ব্যাবসায়ী বেলা ৩ টার মধ্যে যোগ দেন।

সভার মঞ্চে অতিথি ও বিশিষ্টজনদের বসার জন্য অন্তত ৩০ টি চেয়ারের লম্বা সারি রাখা হয়।সর্বসাধারনের বসার জন্য সাজিয়ে রাখা হয় ৫ শতাধিক চেয়ার।

বিশাল ব্যানারে কিছু বক্তব্যসহ নাম রাখা হয় শুধুমাত্র ফকির আব্দুল কাদেরের।

এদিকে বিকেল ৪ টা গড়িয়ে গেলেও স্হানীয় কয়েকজন সাধারন জনগন ছাড়া কোন বিশিষ্টজন সভায় আসেন না।

এ সময় কয়েকজন ব্যাবসায়ী কাদের ফকিরের কাছে কারন জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ঘাট থেকে আসা সকল ব্যাবসায়ী ও সাধারন জনতা সভা বয়কট করে সেখান থেকে চলে যান।

এ প্রসঙ্গে কয়েকজন ব্যাবসায়ী নেতা বলেন, ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ এলাকায় যোগাযোগ ও ব্যাবসা-বানিজ্যে খুব খারাপ প্রভাব পড়েছে। আমরা খুবই সমস্যার মধ্যে আছি।

এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে ব্যাবহার করে কাদের ফকির ফায়দা লুটতে চেয়েছিল। তিনি গোয়ালন্দের কোন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা,জনপ্রতিনিধি বা সুধিজনকে সভায় দাওয়াত দেননি। অথচ নিজের নামটা ব্যানারে ঠিকই ব্যাবহার করেছেন। তবুও আমরা সভা করতে চেয়েছিলাম।কিন্তু এ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে তিনি আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।ফলে আমরা সভা ত্যাগ করি।

এ প্রসঙ্গে ফকির আঃ কাদের দাবি করে বলেন, আমি উপজেলার সকল পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও সুধিজনকে সভায় আমন্ত্রন জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা না আসলে আমার কি করার আছে! সভাকে সফল করতে আমি গত কয়েকদিন নিজে কন্ঠ দিয়ে শহরে মাইকিং করি। ফেসবুকে নানা পোষ্টের মাধ্যমে প্রচারনা চালাই। এলাকার স্বার্থে অনেক টাকা খরচ করি। কিন্তু কিছু কুচক্রী ব্যাক্তি পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে সভাটি বানচাল করে দেয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামীগের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, মতবিনিময় সভার বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানায়নি। জানলে অবশ্যই যেতাম। এখানে গোয়ালন্দের স্বার্থ জড়িত। এ ধরনের একটি সভা সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, ব্যাবসায়ী পরিষদ,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি,সাংবাদিকসহ সকল শ্রেনী পেশার লোকজনকে নিয়ে করতে পারলে ভালো হতো। তবে আমি বন্ধ ট্রেন চালুর দাবির সাথে সহমত পোষন করছি।

গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ বলেন, তার বাসায় একটা চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বিকেলে পার্টি অফিসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে দোয়ার অনুষ্ঠান থাকায় মতবিনিময় সভায় যেতে পারিনি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

গোয়ালন্দে বন্ধ ট্রেন চালুর দাবিতে মতবিনিময় সভা বয়কট করলেন ব্যাবসায়ীরা

Update Time : ০৭:৫২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গোয়ালন্দ ঘাট-রাজশাহী-খুলনা রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেন যমুনা এক্সপ্রেসসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া অপর দুটি লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে মতবিনিময় সভা বয়কট করেছেন গোয়ালন্দ ঘাটের ব্যাবসায়ীরা।

শুক্রবার বিকেল ৩ টায় গোয়ালন্দ পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ফকির মহিউদ্দিন আনছার ক্লাব চত্ত্বরে এ সভার আহবান করেন গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ফকির আব্দুল কাদের। কিন্তু সন্ধ্যা অবধি সভাটি করা সম্ভব হয়নি।

সভায় গোয়ালন্দ ঘাট (দৌলতদিয়া) থেকে স্হানীয় বোডিং মালিক সমিতির সভাপতি-আঃ জলিল ফকির, দৌলতদিয়া ঘাট হকার্স সমবায় সমিতির সভাপতি বাবুল শেখ,সিনিয়র সহ-সভাপতি কাশেম ফকিরসহ শতাধিক ব্যাবসায়ী বেলা ৩ টার মধ্যে যোগ দেন।

সভার মঞ্চে অতিথি ও বিশিষ্টজনদের বসার জন্য অন্তত ৩০ টি চেয়ারের লম্বা সারি রাখা হয়।সর্বসাধারনের বসার জন্য সাজিয়ে রাখা হয় ৫ শতাধিক চেয়ার।

বিশাল ব্যানারে কিছু বক্তব্যসহ নাম রাখা হয় শুধুমাত্র ফকির আব্দুল কাদেরের।

এদিকে বিকেল ৪ টা গড়িয়ে গেলেও স্হানীয় কয়েকজন সাধারন জনগন ছাড়া কোন বিশিষ্টজন সভায় আসেন না।

এ সময় কয়েকজন ব্যাবসায়ী কাদের ফকিরের কাছে কারন জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ঘাট থেকে আসা সকল ব্যাবসায়ী ও সাধারন জনতা সভা বয়কট করে সেখান থেকে চলে যান।

এ প্রসঙ্গে কয়েকজন ব্যাবসায়ী নেতা বলেন, ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ এলাকায় যোগাযোগ ও ব্যাবসা-বানিজ্যে খুব খারাপ প্রভাব পড়েছে। আমরা খুবই সমস্যার মধ্যে আছি।

এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে ব্যাবহার করে কাদের ফকির ফায়দা লুটতে চেয়েছিল। তিনি গোয়ালন্দের কোন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা,জনপ্রতিনিধি বা সুধিজনকে সভায় দাওয়াত দেননি। অথচ নিজের নামটা ব্যানারে ঠিকই ব্যাবহার করেছেন। তবুও আমরা সভা করতে চেয়েছিলাম।কিন্তু এ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে তিনি আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।ফলে আমরা সভা ত্যাগ করি।

এ প্রসঙ্গে ফকির আঃ কাদের দাবি করে বলেন, আমি উপজেলার সকল পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও সুধিজনকে সভায় আমন্ত্রন জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা না আসলে আমার কি করার আছে! সভাকে সফল করতে আমি গত কয়েকদিন নিজে কন্ঠ দিয়ে শহরে মাইকিং করি। ফেসবুকে নানা পোষ্টের মাধ্যমে প্রচারনা চালাই। এলাকার স্বার্থে অনেক টাকা খরচ করি। কিন্তু কিছু কুচক্রী ব্যাক্তি পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে সভাটি বানচাল করে দেয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামীগের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, মতবিনিময় সভার বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানায়নি। জানলে অবশ্যই যেতাম। এখানে গোয়ালন্দের স্বার্থ জড়িত। এ ধরনের একটি সভা সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, ব্যাবসায়ী পরিষদ,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি,সাংবাদিকসহ সকল শ্রেনী পেশার লোকজনকে নিয়ে করতে পারলে ভালো হতো। তবে আমি বন্ধ ট্রেন চালুর দাবির সাথে সহমত পোষন করছি।

গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ বলেন, তার বাসায় একটা চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বিকেলে পার্টি অফিসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে দোয়ার অনুষ্ঠান থাকায় মতবিনিময় সভায় যেতে পারিনি।