রামপালে সগুনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৭:৫৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
রামপালের সগুনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে সভাপতি বিধান চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ওই বিদ্যালয়ের শুন্য ৪টি শিক্ষকের পদের বিপরীতে নিয়োগের নাম করে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অন্য সদস্যরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারীরা হলেন, বিদ্যুৎসাহী সদস্য শেখ কালিমুল্লাহ, দাতা সদস্য নরেন্দ্র নাথ পাল, সদস্য মোজাফফর হোসেন, দেবাশীষ পাল, নিত্য পাল সহ আরো অনেকে।
গত রবিবার (১৫ অক্টোবর) ম্যানেজিং কমিটির ওই ৫ সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ অভিযোগ দাখিল করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় চলতি মাসের ২ অক্টোবর শিক্ষকের ৪টি শূন্য পদে লোকবল নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিধান পাল চাকুরীতে আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থিদের নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এমন নানা অভিযোগ পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ সভাপতিকে মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করলেও সে কোন রকম অনিয়ম থেকে ফিরে আসছে না বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।
আভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ধরনের কর্মকান্ডে এলাকায় চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তী নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করলেও সভাপতি বাবুর দোহাই দিয়ে তিনি এ বিষয় কোন পদক্ষেপ নিতে পারবেন না বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
এমতবস্থায় অভিযোগকারীরা বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি মুক্ত, স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে করার জন্য প্রয়োজনিও ব্যবস্থা গ্রহন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন অভিযোগকারীরা।
এ বিষয় প্রধান শিক্ষক তুহিন বাদশার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ আমিও শুনেছি। এখানে অনৈতিক অর্থবাণিজ্য হচ্ছে, তাই আমি চাই এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে বিষয়টি সুষ্ঠু সুরাহা হোক এবং এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাল শিক্ষ নিয়োগ হোক, যাতে বিদ্যালয়ের আগত শিক্ষার্থীরা ভাল শিক্ষা পেয়ে মানুষের মতো মানুষ হবে এটাই আমার প্রত্যাশা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিধান চন্দ্র পাল সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার নামে কেন অভিযোগ হয়েছে তা আমি জানি না, তবে অভিযোগকারীরা আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। আমি বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সাথে জড়িত নয় বলে জানায় তিনি।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের বিষয় নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এলাকাবাসী শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে অভিযোগের বিষয়গুলি দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।##