ছাত্রদল নেতা অপহরণ মামলায় বালিয়াকান্দি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তুহিনুর রহমানকে (৩৯) অপহরণ, নির্যাতন এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কালুখালী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আবুল কালাম আজাদ বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের চর দক্ষিণবাড়ী গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে। তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।

২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি ছাত্রদল নেতা তুহিনুর রহমানকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে আজাদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। বাধ্য হয়ে তুহিনের বাবা প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করেন এবং পরে আরও পাঁচ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন।

তুহিনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় এবং এক পর্যায়ে তাকে বালিয়াকান্দি থানায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে চালান দেওয়া হয়। অপহরণের শারীরিক নির্যাতনে তুহিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দেশে এবং বিদেশে চিকিৎসা করাতে হয়। এখনো তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি।

ছাত্রদল নেতা তুহিন ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে বালিয়াকান্দি থানা মামলাটি এফআইআর আকারে গ্রহণ করে।

বালিয়াকান্দি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন জানান, গ্রেপ্তার আবুল কালাম আজাদ এই মামলার এজাহারভুক্ত ৭ নম্বর আসামি। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

তুহিনুর রহমানের পরিবার অভিযোগ করেছে, এই অপহরণের ঘটনায় তাদের অর্থিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেন।

এই গ্রেপ্তার নিয়ে রাজবাড়ীর রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ছাত্রদল নেতা অপহরণ মামলায় বালিয়াকান্দি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৯:২৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তুহিনুর রহমানকে (৩৯) অপহরণ, নির্যাতন এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কালুখালী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আবুল কালাম আজাদ বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের চর দক্ষিণবাড়ী গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে। তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।

২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি ছাত্রদল নেতা তুহিনুর রহমানকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে আজাদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। বাধ্য হয়ে তুহিনের বাবা প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করেন এবং পরে আরও পাঁচ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন।

তুহিনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় এবং এক পর্যায়ে তাকে বালিয়াকান্দি থানায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে চালান দেওয়া হয়। অপহরণের শারীরিক নির্যাতনে তুহিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দেশে এবং বিদেশে চিকিৎসা করাতে হয়। এখনো তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি।

ছাত্রদল নেতা তুহিন ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে বালিয়াকান্দি থানা মামলাটি এফআইআর আকারে গ্রহণ করে।

বালিয়াকান্দি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন জানান, গ্রেপ্তার আবুল কালাম আজাদ এই মামলার এজাহারভুক্ত ৭ নম্বর আসামি। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

তুহিনুর রহমানের পরিবার অভিযোগ করেছে, এই অপহরণের ঘটনায় তাদের অর্থিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেন।

এই গ্রেপ্তার নিয়ে রাজবাড়ীর রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।