মানিকগঞ্জে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে রোগী দেখার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৫:১৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞের অনুপস্থিতিতে তার সহকারী উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সিরাজুল ইসলামের রোগী দেখা এবং ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে অসংখ্য রোগী সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. হাবীব ইউসুফ রহমত উল্লাহ সপ্তাহে মাত্র তিন দিন রোগী দেখেন। বাকি দিনগুলোতে তার সহকারী সিরাজুল ইসলাম রোগী দেখার দায়িত্ব পালন করেন। সিরাজুল ইসলাম মূলত সাটুরিয়া উপজেলার বড়াইদ ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। তবে ২০০৮ সাল থেকে তিনি মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে সংযুক্ত হয়ে চক্ষু বিশেষজ্ঞের সহকারী হিসেবে কাজ করছেন।
রোগীরা অভিযোগ করেছেন, সিরাজুল ইসলাম রোগীদের চিকিৎসাপত্র দিলেও তাদের অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। সদর উপজেলার চামটা এলাকার বাসিন্দা আকতার আলী জানান, “চোখের সমস্যায় বিশেষজ্ঞ দেখাতে গিয়ে সিরাজুল ইসলামের দেওয়া ওষুধ খেয়েও কোনো উন্নতি হয়নি।” আরেক রোগী দীপা আক্তার বলেন, “বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখার আশায় গিয়ে সিরাজুল ইসলামের ব্যবস্থাপত্র পেয়েছি, কিন্তু ওষুধে কোনো কাজ হয়নি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগী বলেন, “চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। সিরাজুল ইসলাম প্রায়ই অতিরিক্ত ওষুধ লিখে দেন, যা ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আতাতের ফল।”
এ বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, “চক্ষু বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট সপ্তাহে তিন দিন রোগী দেখেন। বাকি দিনগুলো রোগী সামলাতে হয় আমাকে।”
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. হাবীব ইউসুফ রহমত উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি ঢাকায় আছি। অফিসে এসে সরাসরি কথা বলুন।”
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন বলেন, “অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনার পর রোগীরা চক্ষু বিশেষজ্ঞের অনুপস্থিতি ও চিকিৎসাসেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।