এক লাখ টন ইলিশ বৃদ্ধি করতে সরকারের ২শত ৪৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহন
- আপডেট সময় : ০৩:১৩:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১ ১৫৮ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
এক লাখ টন ইলিশ মাছ বৃদ্ধি করতে সরকার ২শত ৪৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহন করেছে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে হবে চলতি বছরের উৎপাদন সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টনে উন্নতি হবে। এমনটি জানালেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পএর আওতায় জেলা পযায়ে অবহিতকরণ কর্মশালায় সভায় তিনি এই তথ্য প্রদান করেছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল লতিফ।এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ছানোয়ারুল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক জিল্লুর রহমান, সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসবি) নাসির উদ্দিন মল্লিক, সদর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম আকন্দ। এসময় অনুষ্টানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মোছাৎ শিরিন শীলা।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের ওই অবহিতকরণ সভায় বক্তারা জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে যত ইলিশ পাওয়া যায় তার ৮০ ভাগই বাংলাদেশে উৎপাদন হয়ে থাকে। বিশ্বের বাংলাদেশের অন্যতম পরিচয় বহন করে ইলিশের দেশ হিসেবে। সরকার এই ইলিশ মাছ উপহার স্বরূপ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে থাকেন। খাদ্যে আভিজাত্য বহনকারী ইলিশ মাছ বৃদ্ধিতে সরকার বদ্ধ পরিকর।
প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী তার বক্তব্যে আরো বলেছেন, মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য আইন বাস্তবায়ন এবং ইলিশ জেলেদের বিপল্প কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ইলশের উদপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। সেই সাথে অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেও ইলশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
জাটকা ও মা ইলিশ আহরণকারী ৩০ হাজার জেলে পরিবারকেবিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলেও ওই কর্মশালায় অবহিত করা হয়। এদিকে অবহিত করণ সভায় অংশগ্রহনকারীরা বলেছেন, কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ না করতে পারলে সরকারের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়।